চট্টগ্রামে হেফাজত কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত, আহত কয়েক ডজন
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজত-ই-ইসলামের কয়েকশ' কর্মীর সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন হেফাজত কর্মীসহ একজন পথচারীও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তথ্যটি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার কালে তারা মারা গেছেন।
সূত্রমতে, হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্রসহ হেফাজত ইসলামের কর্মীরা হাটহাজারী থানার কাছে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজত অনুসারীরা মিছিল বের করার পর তারা সড়কটি অবরোধ করেন।
এসময় ব্যস্ত সড়কটি ফাঁকা করতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ।
হেফাজত কর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে, প্রথমে পুলিশ টিয়ারগ্যাস শেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে হেফাজত কর্মীরা হাটহাজারী থানায় প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজত অনুসারীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা হাটহাজারী থানায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তায় পুলিশ অবস্থান নিলে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে অনুসারীরা অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল ছোড়ে।'
হেফাজতের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৭ ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।'
'বিনা উস্কানিতে পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায়,' বলে অভিযোগ করেন তিনি।