ফিনিশার হবেন মোসাদ্দেক!
প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিলেন। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ না খেলায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নামটি ভুলতে বসার জোগাড় হয়েছিল সবার। জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা সেই ২০১৯ সালে। লম্বা বিরতির পর গত এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডে একটি টি-টোয়েন্টি খেলে জাতীয় দলে খেলার খরা কাটে ডানহাতি এই অলরাউন্ডারের। সেই মোসাদ্দেককেই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে দলে নেওয়া হয়েছে।
দলে আরও কয়েকজন স্পিনিং অলরাউন্ডার থাকার পরও মোসাদ্দেকের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বেশ। প্রশ্ন উঠেছে, কোন দিক বিবেচনায় দলে সুযোগ পেয়েছেন মোসাদ্দেক? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগে জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে রাখা হয় এই প্রশ্ন। জবাবে প্রোটিয়া এই কোচ জানালেন, ফিনিশার হিসেবে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।
'ফিনিশার' হিসেবে দলে আছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহেদী হাসানরা। এই দুজনও স্পিনিং অলরাউন্ডার। এমনকি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও দলে একইভাবে ভাবা হয়। এরপরও মোসাদ্দেককে নিয়ে নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পক্ষে রাসেল ডমিঙ্গো। তার ভাষায়, সাত নম্বরে ব্যাট-বোলিংয়ের সন্ধানেই মোসাদ্দেকের সংযুক্তি।
জাতীয় দলের প্রধান কোচ বলেন, 'আমার মনে হয় আমরা সাত নম্বরে এমন একজনের সন্ধানে আছি, যে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিন বোলিংয়ের কাজটি করতে পারে। এখানে আফিফ এবং মোসাদ্দেক আছে। এরআগে সৌম্যকে দিয়েও আমরা চেষ্টা করেছি। লোয়ার মিডল অর্ডারের জন্য লড়ছে মোসাদ্দেক। এই জায়গায় এমন একজন আমাদের দরকার যে কিনা ম্যাচ শেষ করতে পারে। পাশাপাশি ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিং মিলিয়ে দারুণ একটি প্যাকেজ।'
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সৌম্য সরকারকে এই পজিশনে চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও জয় আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় তিনি সেভাবে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি। নিউজিল্যান্ড সফরে এই ভূমিকায় রাখা হয় মাহেদী হাসানকে। ডানহাতি এই অলরাউন্ডারও জায়গাটা নিজের করে নিতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে মোসাদ্দেক ফিনিশার হয়ে উঠতে পারেন কিনা, সেটা বুঝতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।