বিদেশগামী কর্মীদের জন্য এয়ার টিকিটে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবি
এয়ারটিকিটের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রেখে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য 'লেবার ফেয়ার' নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে জনশক্তি রপ্তানীকারকদের প্ল্যাটফর্ম 'রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ'।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে বক্তারা জানান, বর্তমানে এয়ার টিকিটের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিদেশগামী কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়েছে ।
রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ-এর সভাপতি এম টিপু সুলতান বলেন, "বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমূহের এয়ার টিকেট এর মূল্য বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স অযৌক্তিক ভাবে ৩/৪ গুণ বৃদ্ধি করেছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা হতে আরব দেশসমূহের এয়ার টিকেট এর মূল্য ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকা। বাংলাদেশেও করোনার আগে দাম এমনই ছিল। অথচ বাংলাদেশ হতে একই গন্তব্যে এয়ার টিকেট এর মূল্য বর্তমানে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা"।
তিনি বলেন, "দেশের হাজার হাজার কোটি ডলার কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশি এয়ারলাইন্স দেশ হতে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে বাংলাদেশ বিমানের মাধ্যমে হলেও বিদেশগামী কর্মীদের জন্য লেবার ফেয়ার নির্ধারণ ও সেটির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে চাই।"
এদিকে, মানববন্ধন থেকে জনশক্তি রপ্তানি খাতকে অবিলম্বে শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
জনশক্তি রপ্তানিকারকরা বলেন, বর্তমানে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে জনশক্তি রপ্তানি খাত তথা রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহ শত শত কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিতে পতিত হয়েছেন। এই খাত শিল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এজেন্সিসমূহ সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়েছে। যে খাত হতে বছরে ২২ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়, সেই খাত যুগ যুগ ধরেই অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে।
স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে বৈধভাবে কর্মী প্রেরণ করা স্বত্ত্বেও মানবপাচার আইনে এজেন্সি মালিকদের হয়রানি বন্ধ করা এবং সরকার অনুমোদিত সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি, বাংলাদেশ ও বহিঃবিশ্বের সকল দূতাবাসে তালিকাভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, দেশে প্রায় ২০০০ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৩৩ লাখ বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে।