আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩২, আহত ৪৫
আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে জুমার নামাজের সময় একটি শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ৪৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো।
বার্তা সংস্থা বিবিসির সূত্র অনুযায়ী, আত্মঘাতী হামলার ফলে হয়েছে এই বিস্ফোরণ।
মসজিদের ভেতর থেকে তোলা ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, মাটিয়ে ভাঙা জানালার টুকরী ও লাশ পড়ে আছে। উপস্থিত অনেকে সাহায্যের চেষ্টা করছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, তিনি তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন - একটি প্রধান দরজায়, আরেকটি ওযু করার জায়গায় এবং এরপর তৃতীয় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
জুমার নামাজেই সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় বেশি থাকে। বিস্ফোরণের ঘটনার সময় ওই মসজিদটিতেও মানুষের ভিড় উপচে পড়ছিল।
এএফপির একজন সাংবাদিক বলেন, ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ১৫ টি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানের বিশেষ বাহিনী ঘটনাস্থলটি সুরক্ষিত করেছে ও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে রক্ত দেওয়ার আহবান জানিয়েছে।
বিবিসির আফগানিস্তানের সংবাদদাতা সেকান্দার কেরমানি জানান, ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখা আইএস-কে জানাতে পারে তারাই এই হামলার পেছনে জড়িত ছিল।
গত শুক্রবার দেশটির উত্তরের কুন্দুজ শহরে জুমার নামাজের সময় একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়। সেসময় আইএস-কে জানিয়েছিল, তারা ওই হামলাটি করে। গত আগস্টের শেষের দিকে মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর থেকে সেটিই ছিল সবচেয়ে মারাত্মক হামলা।
আফগানিস্তানের সব জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে চরমপন্থি ও উগ্রবাদী দল হল এই সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠী আইএস-কে। বর্তমানে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালেবানের শাসনের বিরোধী এ দলটি। সুন্নি মুসলিম চরমপন্থী এ দলটঅ শিয়া মুসলিমদের টার্গেট করেছে। শিয়াদের 'বিধর্মী' হিসেবে মূল্যায়ন করে তারা।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনী, আফগান রাজনীতিবিদ, তালেবান, শিয়া মুসলিম এবং শিখসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী এবং দাতব্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে টার্গেট করেছে আইএস-কে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির পর আগস্টের শেষে বিদেশি বাহিনী দেশটি থেকে সরে যাওয়ার পর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে।
- সূত্র: বিবিসি