ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটের কারণে এই দশা, বলছেন বাশার
জিম্বাবুয়ে সফর থেকে শুরু। এরপর ঘরের মাঠে একের পর এক ম্যাচ জিতে গেছে বাংলাদেশ। ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি হলেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সহজেই সিরিজ জেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে জিতলেও আলোচনা ছিল উইকেট নিয়ে। প্রশ্ন ছিল- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে এমন ধীর গতির উইকেট বানিয়ে সিরিজ জেতাটা কতোটা সমীচীন হলো?
বেশিরভাগ সাবেক ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন, সিরিজ জিতলেও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি বাংলাদেশের। এমন উইকেটে খেলার কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে দলকে। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি নির্বাচক হাবিবুল বাশার উল্টো মত দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, 'উইকেট নিয়ে বেশি কথা হচ্ছে। এটা সমস্যা হবে না।'
সেই হাবিবুল বাশারই বিশ্বকাপ চলাকালীন ভিন্ন মত দিলেন। বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের পেছনে ধীর গতির উইকেটে খেলার অভ্যস্ততার কারণ উল্লেখ করলেন তিনি। অবশ্য কেবল সর্বশেষ দুই সিরিজের উইকেটই নয়, দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করা বাশার ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটকে দায়ী করছেন।
আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর হয়ে বিশ্বকাপে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা মেলে ভিন্ন বাস্তবতার। তিন ম্যাচের দুটিতে জিতে সুপার টুয়েলভে উঠলেও হারের বৃত্তে বন্দি হয়ে আছে বাংলাদেশ দল। টানা তিন হারে গ্রুপের সর্বশেষ দল বাংলাদেশ, বলে যাওয়া সেমি-ফাইনাল স্বপ্ন এখন ধূ ধূ মরিচীকা।
দলের এমন অবস্থার পেছনের কারণ জানাতে গিয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসার আগে আমরা অনেকগুলো ম্যাচ খেলে এসেছি, এটা একটা সুবিধা ছিল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। জয় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আসলে যেটা দরকার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ঘরোয়া যে টুর্নামেন্ট খেলি, সেখানে ব্যাটিং উইকেট তৈরি করা।'
বারবার একই উইকেটে খেলার কারণে পাওয়ার হিটার তৈরি হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, 'আমরা যখন বিপিএল বা অন্য টুর্নামেন্ট খেলি তখন বারবার একই উইকেটে খেলার কারণে ভালো উইকেট পাই না। যার জন্য পাওয়ার হিটার তৈরি হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি আপনার কন্ডিশনের সুবিধা নিতে চাইবেন। আমার মনে হয় আমাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো উইকেট বানাতে হবে।'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটা অবস্থান তৈরি হয়ে গেলেও কোন ধরনের উইকেটে খেললে সামনের পথ মসৃণ হবে, মিলবে উন্নতি; সেটা জানা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির কারও। হাবিবুল বাশার দেরিতে এসে বুঝলেন, সেটাও পরিষ্কারভাবে নয়। তাই ভালো উইকেট বানানোর দাবিটাও সেভাবে জানিয়ে রাখতে পারলেন না তিনি।