ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের ধর্মঘট চলবে
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে চলমান অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, প্রাইম মুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতি।
সংগঠনটির বাকি দুটি দাবি হল- বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার এবং দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলো কর্তৃক পণ্যপরিবহন যানের ওপর 'টোলের নামে চাঁদাবাজি' বন্ধ করা।
রোববার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংগঠনটির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল মোতালেব বলেন, "এই তিন দফা দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত সারাদেশে পণ্যপরিবহনযান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।"
তিনি আরও বলেন, "যারা আগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পণ্যপরিবহন ভাড়া ১৫ হাজার টাকা দিতেন, তেলের দাম বাড়ায় তাদের থেকে ১৮ হাজার টাকা নিতে হবে। কিন্ত তারা দিবেন না, কারণ আমাদের ভাড়া নির্ধারিত করে দিয়েছে সরকার, তাই তেলের দাম প্রত্যাহারই আমাদের মুক্তির উপায়।"
সংগঠনটির এ নেতা বলেন, "এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা করা হয়নি, তাই আমরা বাধ্য হয়েছি এই আন্দোলন অব্যাহত রাখতে।"
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় গত বুধবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন মালিকরা।
ধর্মঘটের কারণে বাজারে হু হু করে বেড়েছে পণ্যের দাম। যাতায়াতেও বেড়েছে খরচ। গণপরিবহন না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।