ছেলের ফাঁসির সাজা, ভালো নেই রাসেলের মা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে আজ বুধবার।
এ মামলায় যে ২০ জনের ফাঁসির সাজা হয়েছে তাদের একজন হলেন মেহেদী হাসান রাসেল। ফরিদপুরের সালথার সন্তান রাসেল বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মামলার রায়ের পর সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গাবাড়িতে অবস্থিত গ্রামের বাড়ি এখন স্তব্ধ। সুনসান নীরবতায় রয়েছে বাড়ির পরিবেশ। তেমন কারো সাথেই তারা কথা বলতে চাচ্ছে না পরিবারের কেউ। সেখানে তার বাবা, মা ও ছোট ভাই বসবাস করে।
রাসেলের পিতা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে জানান, "আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না এই বিচারের রায় নিয়ে। রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এতটুকু বলবো আমার ছেলে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো না।"
এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, "আমার স্ত্রী কীভাবে রয়েছে সেটা আপনি বুঝবেন যদি আপনার নিজের কোন ছেলে থেকে থাকে। আমি তাকে কথা বলতে মানা করে দিয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমার দুই ছেলে, বড় জন রাসেল। সে ২০১৮ সালে বিএসসি (ইঞ্জি:) পাশ করে ছিলো। এরপর এই ঘটনা ঘটে।"
এই রায়ের পর আপিল করবেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না। সেটা পরবর্তী সময়ে বলতে পারবো।
সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, "রাসেলের পরিবারের তিন সদস্য এখানে বাস করে। রাসেলের পিতা রুহুল আমিন একজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। তার দুই ছেলে একজন রাসেল অপরজন নবম শ্রেনির ছাত্র। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাসেল পড়াশুনা করার জন্য ঢাকা থাকতো। আমরা জানতাম রাসেল বুয়েটে পড়ে সে অনেক মেধাবী। রাসেল ছাড়া সবাই বাড়িতেই থাকতো। রায় ঘোষণার দিনও তারা সকলে বাড়িতে অবস্থান করছে বলে আমি জানি।"
তিনি বলেন, "আদালত যেটা সঠিক মনে করেছে সেই রায় ঘোষণা করেছে। এটা নিয়ে আসামী পক্ষ যদি মনে করে রায় সঠিক হয়নি তাহলে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারে। তবে আমি বলবো এই জঘন্যতম ঘটনার যে বিচার দ্রুত সময়ে হয়েছে এই জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।"