তাসকিন-শরিফুলদের নিয়ে গর্বিত গিবসন
শুরুর ধারায় থাকা গেলে দিনটা আলো ঝলমলে হতে পারতো বাংলাদেশের জন্য। চতুর্থ ওভারেই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রথম ঘণ্টায় আগুনে বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। এবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজরাও পরে সামর্থ্যের প্রমাণ দেন। যদিও চাওয়া মতো শেষটা হয়নি, এরপরও বোলারদের নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
বাংলাদেশ ভোরে শনিবার ভোরে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের মতে, এই বোলিংয়েই অন্য দিনে আরও কয়েকটি উইকেটের দেখা মিলতে পারতো। তবে সমানে সমান লড়াই হওয়ায় সন্তুষ্ট তিনি।
প্রথম দিনের খেলা শেষ ওটিস গিবসন বলেন, 'প্রথম ঘণ্টায় আমরা দারুণ বোলিং করেছি। অনেকবার বল ব্যাটের পাশ দিয়ে গিয়েছে। দেখা যাবে এমন বোলিংয়ে হয়তো অন্যদিন আরও ২-৩টা উইকেট বেশি পড়েছে। কনওয়ে ভালো খেলেছে। দিন শেষে খেলাটা সাম্যাবস্থায় আছে।'
উইকেট কিছুক্ষণ পরই ফ্ল্যাট হয়ে গেলেও বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে গর্বিত গিবসন। ক্যারিবিয়ান এই কোচের ভাষায়, 'আমরা বাংলাদেশের উইকেটে ঘাস দেখি না, এটা একটা বিষয়। আমরা ভেবেছিলাম শুরুতে মুভমেন্ট পাব এই উইকেট, সেটা পেয়েছিও। আজ গরমও ছিল। যে কারণে উইকেটের ভেজা ভাবটা বেশিক্ষণ ছিল না। এখন অনেকটা ফ্ল্যাট উইকেট বলা যায়। তবে ছেলেরা যেভাবে বল করেছে, তাতে আমি গর্বিত।'
'ওরা সারাদিন ভালো বল করেছে। মিরাজ একটা প্রান্ত থেকে রান কম দিয়ে বল করে গেছে। সব পেসারই ভালো করেছে। ইবাদতও ভালো করেছে। ওদের জন্য এই কন্ডিশন কিন্তু অচেনা। আমরা একটু সামনে বল করেছি, সুইং করিয়েছি। কনওয়ে একটুর জন্য বেঁচে গেছে। তবে এটাই হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।' যোগ করেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ।
নিউজিল্যান্ডের মতো বিশ্বমানের দল না হলে আরও কয়েকটি উইকেট পাওয়া যেত বলে মনে করেন গিবসন, 'আমরা সুইং করানো নিয়ে কাজ করেছি। আজ সবাই সুইং করানোর চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশে ওরা ব্যাক অব দ্য লেংন্থে বল করে বেশি। কারণ সেখানে তেমন সুইং থাকে না। আমরা আজ আরও বেশি উইকেট পেতে পারতাম। কিন্তু বুঝতে হবে আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিপক্ষে খেলছি।'