মুস্তাফিজ-তাসকিনদের দায়িত্বে থাকছেন না গিবসন
কোনো জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকা কোচিং স্টাফ সাধারণত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় কোচিং করান না। কিন্তু ওটিস গিবসন বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ই নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)। মুলতান সুলতানসের সহকারী ও পেস বোলিং কোচ হয়েছেন তিনি। পিএসএলের ক্লাবটি টুইটারে এই খবর জানানোর পর ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পরের দিন জানা গেল, বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়েই পিএসএলে যাচ্ছেন ক্যারিবীয় এই কোচ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে গিবসনের দুই বছরের চুক্তি আগামী ২০ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা। পারফরম্যান্স বিবেচনায় তার সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর ইচ্ছা ছিল বিসিবির। কিন্তু গিবসন না চাওয়ায় সেটা হয়নি। কয়েকদিন আগে চুক্তি নবায়ন না করার বিষয়টি বিসিবিকে জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ফাস্ট বোলার। নিউজিল্যান্ড সফরই বাংলাদেশের হয়ে শেষ সিরিজ তার।
এসব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি বলেন, 'ওর চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে, এই জানুয়ারিতেই শেষ। ও বলেছে আমাদের সঙ্গে আর কন্টিনিউ করবে না। তবে আমাদের ভাবনা ছিল, সে থাকতে চাইলে চুক্তি নবায়ন করব।'
ইতোমধ্যে নতুন কোচের সন্ধানও শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। জালাল ইউনুস বলেন, 'এখন আমাদের পেস বোলিং কোচ খুঁজতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা চেষ্টা শুরু করেছি। দেখা যাক আমরা কোচ পাই কিনা।'
বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কোচিং করিয়েছেন গিবসন। ২০০৭ সালে তার আন্তর্জাতিক কোচিং ক্যারিয়ারের শুরু। অ্যালান ডোনাল্ডের অনুপস্থিতিতে সে বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত বোলিং কোচ হন তিনি। ওই সিরিজের পর স্থায়ীভাবে ইংলিশদের বোলিং কোচ হন তিনি।
কোচ হিসেবে গিবসনের সেরা সাফল্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে। ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কোচিংয়েই ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৫ সালে আবারও ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হন তিনি। ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচের। ২০১৯ সালে এই চাকরি হারানো গিবসন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নেন।