বাংলাদেশের বোলিং কোচ হতে আগ্রহী শন টেইট
প্রায় দুই বছর বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে কাজ করেছেন ওটিস গিবসন। পেস বোলিং কোচ হিসেবে তার কাজ সমাদৃত হয়েছে। তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেনদের বদলে যাওয়ার পেছনে অবদান আছে ক্যারিবীয় এই কোচের। সাফল্য মেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে থেকে যেতে চেয়েছিলেন গিবসন। কিন্তু বিসিবি আগ্রহ দেখায়নি, মন খারাপ করেই বাংলাদেশ পর্বের ইতি টেনেছেন তিনি।
গিবসনের সঙ্গে বিসিবির চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০ জানুয়ারি। বিসিবি আগেই জানিয়েছে, নতুন পেস বোলিং কোচ খোঁজার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এমন খবরে কোচ হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শন টেইট।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করতে আসা অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই তারকা পেসার বলেছেন, 'অবশ্যই আমি আগ্রহী। তাদের হাতে অবশ্য সময় আছে, কাকে বেছে নেবে। তবে এই দায়িত্ব পেলে অবশ্যই আমার জন্য দারুণ হবে।'
বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুসরণ করেন টেইট। পেস বোলিংয়ে আগামী পাঁচ-ছয় বছর বাংলাদেশের জন্য রোমাঞ্চকর হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম এই বোলার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩ টেস্ট, ৩৫ ওয়ানডে ও ২১ টি-টোয়েন্টি খেলা সাবেক এই গতি তারকা বলেন, 'এমনিতেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে তরুণ ফাস্ট বোলার ও ক্রিকেটার উঠে আসছে। আগামী ৫-৬ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য হতে যাচ্ছে রোমাঞ্চকর।'
নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বোলিংয়ে মুগ্ধ টেইট। জানালেন তরুণ এই পেসারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা। তার ভাষায়, 'সফরটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ ছিল, তার জন্য তো বটেই। সে আক্রমণ করতে পছন্দ করে, স্টাম্পে বল রাখে। তার উৎসাহ ও উদ্যম সহজেই চোখে পড়ে। দূর থেকে তাকে দেখেই তার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জাগে, কারণ ফাস্ট বোলিংয়ের প্রতি তার মানসিকতা দারুণ।'
চট্টগ্রামের তরুণ সব পেসারদের নিয়ে টেইট বলেন, 'এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ কিছু ভালো তরুণ ক্রিকেটার আছে, যারা ভবিষ্যতে দুর্দান্ত ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দলে তাদের বেশ কজন আছে। শরিফুল যেমন, আগ্রাসী বাঁহাতি বোলার। আমাদের দলেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে সে। নিজেকে তুলে ধরার মতো যথেষ্ট ক্রিকেট সে খেলে ফেলেছে এর মধ্যেই। তাদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আমি।'