কফি শেষ হয়নি? ঘরে থাকা গাছে ঢেলে দিন
কফি ছাড়া হয়তো আপনি একটা দিনও কল্পনা করতে পারেন না। দিন শুরু হয় কফি দিয়ে। রাত গড়াতে গড়াতে কয়েক কাপ কফিতে চুমুক তো পড়বেই। কিন্তু সবসময় হয়তো কাজের তাড়াহুড়োয় কফি শেষ করা হয়ে উঠে না। ঠাণ্ডা কফি পড়ে থাকে টেবিলের কোণে। আগেরটা ফেলে দিয়ে হয়তো নতুন কফি বানাতে যান।
কিন্তু কফি সিঙ্কে না ঢেলে অন্য কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের গাছগুলোতে সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এই কফি। এতে কফি যেমন অপচয় হবে না, তেমনই সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলেও গাছও ফিরে পাবে প্রাণ।
কফিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই উপাদানগুলো শুধু মানুষই নয়, গাছের জন্যও উপকারী। নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সবই কফিতে পাওয়া যায়।
তবে গাছে কফি দিতে চাইলে অবশ্যই সঠিক উপায়ে দিতে হবে। তা না হলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
প্রথমত, গরম বা সদ্য বানানো কফি গাছে দিবেন না। গরমে গাছের শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া কফি অম্লীয় হয়ে থাকে, যা গাছের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য গাছে দেওয়ার আগে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন।
তাছাড়া গাছে শুধু কালো কফিই ব্যবহার করুন। ভুলেও দুধ মেশানো কফি গাছে দিতে যাবেন না। নিয়মিত না দিয়ে সপ্তাহে একদিন গাছে কফি দিন।
তবে এই কৌশলের আগে আরও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। প্রথম দিকে গাছের জন্য কফি উপকারী হলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারে মাটির পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ফলে মারা যেতে পারে গাছ।
আর তাই গাছে কফি ব্যবহারের আগে মাটির পিএইচ পরীক্ষার একটি মনিটর কিনে নিন। ঘরোয়া গাছগুলোর জন্য স্বাভাবিক পিএইচ মাত্রা ৫.৫ থেকে ৬.৫ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে গাছ নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকলে ইনডোর প্ল্যান্টগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন। ফাইকাসের মতো ইনডোর প্ল্যান্টগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা এক্ষেত্রে কম।
সবকিছু ঠিকমতো মেনে চলে গাছের যত্ন নিন। আপনার গাছ ভালো থাকবে।
- সূত্র: লাইফ স্যাভি