দল চেয়েছিল মেঘ, বৃষ্টি নামালেন নাসুম
আগে ব্যাটিং করে সংগ্রহ বড় করা যায়নি। লিটন কুমার দাসের ৬০ রানের পরও ইনিংস আটকে যায় ১৫৫ রানে। আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ দেখার পর স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না। তবে নিজেদের আঙিনায় অস্বস্তিও ভিড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদ, সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলামদের দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেসেখেলেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
লিটনের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে যৌথ পারফরম্যান্সে আফগানদের বিপক্ষে ৬১ রানের জয় এসেছে। তবে একটি নাম বড় করে, নাসুম আহমেদ। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনার একাই সফরকারীদের পথ ভুলিয়ে দেন। পাওয়ার প্লের ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন তিনি। পাওয়ার প্লের সবগুলো উইকেটই যায় তার ঝুলিতে। নিজের শেষ ওভারে ৩ রান দেওয়ার পর নাসুমের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-০-১০-৪।
এটা নাসুমের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। অবিশ্বাস্য বোলিং করার পর ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ স্পিনার জানালেন, সব সময়ের মতো আজও পাওয়ার প্লেতে তাকে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই ম্যাচে পরিকল্পনা পূরণ করে দলকে আরও অনেকটা পথ এগিয়ে দেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা নাসুম।
বোলিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্পিনার বলেন, 'আসলে আজ প্রথমে আমাকে একটা লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল, পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ১২ রান দেওয়ার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ৪ ওভারে ১০ রান দিয়েছি, ৪ উইকেট পেয়েছি।'
পাওয়ার প্লেতে সব সময়ই কম রান দেওয়ার পরিকল্পনা থাকে নাসুমের, ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জের খেলায় মাতাটা উপভোগ করেন ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তার ভাষায়, 'পাওয়ার প্লেতে আমার একটাই লক্ষ্য থাকে। ব্যাটসম্যানের সাথে আমি চ্যালেঞ্জ নিই, যত কম রান দেওয়া যায়। চেষ্টা থাকে পাওয়ার প্লেতে দলকে যেন ভালো শুরু এনে দিতে পারি। এটাই আমার লক্ষ্য থাকে।'
দলের দুঃসময়ে ৪৪ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলা লিটনের মতে, নাসুমের বোলিং-ই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। না হলে অন্য চিত্রও হতে পারতো। লিটন বলেন, 'নাসুম যে বল করেছে, আসলে গেম চেঞ্জিং। ও যদি শুরুতে ব্রেক থ্রু না দিত পাওয়ার প্লেতে, তাহলে ভিন্নরকম বল গেম হতো। আমি মনে করি উইকেট ভালো ছিল, সেখানে নাসুম যে বল করেছে, অসাধারণ।'
লিটনের চোখে আর দশজন স্পিনারের মতো নন নাসুম। সতীর্থের প্রশংসা করে বাংলাদেশ ওপেনার বলেন, 'ওকে বেসিক বাঁহাতি স্পিনারদের মতো মনে হয় না কখনোই। কারণ ওকে আমি নেটে খেলছি। সব সময় ভিন্ন কিছু না কিছু করার চেষ্টা করে। একটা আস্তে করে, একটা জোরে করে। টি-টোয়েন্টিতে এই জিনিসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কোনো বোলার যদি একই ধরনেরর বল করে, পিক করা সহজ হয়ে যায়। ওর মাঝে একটু ভিন্নতা আছে আমার মনে হয়।'