আইন ভঙ্গ করে ‘সহকারী প্রধান’ পদে নিয়োগ দিচ্ছে ট্যারিফ কমিশন
বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে 'সহকারী প্রধান' পদে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা কর্মকর্তারা পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে ট্যারিফ কমিশন (কর্মকর্তা-কর্মচারী) চাকুরি বিধিমালা, ১৯৯৩ অনুযায়ী সহকারী প্রধানের শূন্য পদ পূরণে ৫০ শতাংশ পদোন্নতি এবং বাকি ৫০ শতাংশ প্রেষণে নিয়োগ দিতে নির্দেশনা দেয়। কমিশনের চাকরি বিধিমালার সংশ্লিষ্ট বিধি এবং তফসিল সংশোধনের পর কমিশন সরাসরি এ পদে নিয়োগ দিতে পারবে বলেও জানানো হয়।
এ নির্দেশনার কারণে ২০১৭ সালে কমিশনের চাহিদার বিপরীতে সরাসরি নিয়োগের জন্য ছাড়পত্র দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিধামালা সংশোধন না হওয়ার পরও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই সম্প্রতি আবার ৩টি পদের বিপরীতে সরাসরি নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে। যে কারণে ৩ টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে মঙ্গলবার সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে কমিশন।
জানা গেছে, গত ৯ জানুয়ারি ট্যারিফ কমিশনের ১৪৩তম কমিশন সভায় চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, সহকারী প্রধানের ৪টি পদ রয়েছে। যার তিনটি শূন্য পদ পূরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। অথচ ট্যারিফ কমিশনের ১৩৮ তম সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চাকরি বিধিমালা ১৯৯৩ এর সংশ্লিষ্ট বিধি সংশোধনের পরই সরাসরি নিয়োগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে সহকারী প্রধানের শূন্যপদ পদোন্নতি ও প্রেষণে পূরণ করতে হবে।
অভিযোগ উঠেছে, এবার জনপ্রশাসনের নির্দেশনার কথা গোপন করে সরাসরি নিয়োগের জন্য অনুমতি নিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্যারিফ কমিশনের সচিব মো. আবুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া যায়, তবে সরাসরি নিয়োগেও কোন বাধা নেই। এ কারণে কমিশন সরাসরি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
ট্যারিফ কমিশনের ৭ জন কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের কারো কারো গবেষণা কাজ করার ১০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইন সংশোধন হওয়ার আগ পর্যন্ত পদোন্নতির মাধ্যমে তাদেরই এ সুযোগ পাওয়ার কথা। তবে সরাসরি নিয়োগ দেয়া হলে তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রসাশন) ড. শাহ আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, '২০১৭ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সরাসরি নিয়োগের অুনমতি না দিলেও এবার কেন দিল তার কারণ খুঁজে দেখা হবে।'