নিউজিল্যান্ডকে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ দিলো তাদের মেয়েরা
বিশ্বকাপের ফাইনাল মানেই সেখানে নিউজিল্যান্ডের হৃদয় ভাঙার গল্প। হোক সেটা যে ফরম্যাটেরই বিশ্বকাপ কিংবা তাদের পুরুষ বা নারী দল। দেশটির দল দুটি ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে সব মিলিয়ে আটবার ফাইনাল খেলেও কখনও শিরোপা জিততে পারেনি। অবশেষে অপেক্ষা ফুরালো তাদের, নবম চেষ্টায় ফাইনাল জয় করলো কিউইরা। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়লো তাদের মেয়েরা।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩২ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টুর্নামেন্টটির প্রথম দুটি আসরে ফাইনাল খেলে কিউইরা। এরপর তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেও নিউজিল্যান্ডের নারী দলটি থেকে যায় শিরোপাহীন। কিউইদের পুরুষ দল দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেললেও কখনও শিরোপার স্বাদ পায়নি।
নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে চলে যাওয়া আসরটির শিরোপার লড়াইয়ে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড। সুজি বেটস, আমেলিয়া কের ও ব্রুক হ্যালিডের ব্যাটে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে তারা। যা আসরটির ফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জবাবে রোজম্যারি মেয়ার ও ম্যাচসেরা আমেলিয়ার বোলিং তোপের সামনে ৯ উইকেটে ১২৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় লরা ওলভার্ট ছাড়া কেউ-ই দলের হয়ে ব্যাট চালাতে পারেননি। প্রোটিয়া অধিনায়ক ২৭ বলে ৫টি চারে ইনিংস সেরা ৩৩ রান করেন। তাজমিন ব্রিটস ১৭, ক্লোই ট্রায়ন ১৪ ও আনেরি ডার্কসেন ১০ রান করেন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস খেলার পর বল হাতেও আলো ছড়ান আমেলিয়া। ৪ ওভারে ২৪ রানে ৩টি উইকেট নেন তিনি। ৪ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেট পান রোজম্যারিও। একটি করে উইকেট নেন এডেন কার্সন, ফ্রান জোনাস ও ব্রুক হ্যালিডে।
এর আগে ব্যাটিং করা কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ফাইনাল জেতার প্রধান কারিগর আমেলিয়া। ৩৮ বলে ৪টি চারে ৪৩ রান করেন তিনি। ৩১ বলে ৩টি চারে ৩২ রান করেন সুজি। ২৮ বলে ৩টি চারে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন হ্যালিডে। দক্ষিণ আফ্রিকার ননকুলুলেকো এমলাবা সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান আয়াবঙ্গা খাকা, ক্লোই ট্রায়ন ও নাদিন ডি ক্লার্ক।