চাঁদে মারামারি বা থুতু ফেলা চলবে না: নিয়ম জারি করল নাসা
আর কিছুদিনের মধ্যেই চাঁদের দিকে যাত্রা করবে চন্দ্রযান আর্টেমিস। সেলক্ষ্যে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি বেশ কিছু নিয়ম-কানুনও জারি করেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
এই নিয়মাবলি অনুযায়ী, অ্যাপোলো ১১ ট্রাঙ্কুয়ালিটি বেসের মতো ঐতিহাসিক লুনার ল্যান্ডমার্কে কোনও মারামারি, নোংরা বা থুতু ফেলা বা আচমকা ঢুকে পড়া ইত্যাদি চলবে না। নাসার আন্তর্জাতিক ও আন্তঃসংযোগ বিভাগের প্রধান মাইক গোল্ড বলেন, চাঁদে শুধু একজন মহাকাশচারী যাবেন না তার সঙ্গে যাবে আমাদের নীতি ও আদর্শ। আর তাই এই নিয়মগুলো মেনে চলতেই হবে।
১৯৬৭ সালের আউটার স্পেস ট্রিটির উপর ভিত্তি করে এই নির্দেশিকা তৈরি করেছে নাসা। এই আর্টেমিস চুক্তিতে সই করেছে আমেরিকা, ইতালি, কানাডা, জাপান, লুক্সেমবার্গ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ব্রিটেন। নাসা অবশ্য চাইছে যে আরও বেশি সংখ্যক দেশ এই চুক্তিতে সই করুক যাতে ২০২৪-এর মধ্যে মহাকাশচারীরা চাঁদের মাটিতে পা রাখতে পারে।
নাসার প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইনের মতে এই প্রজেক্ট ইতিহাসের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে। আর এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিযানই ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে যাত্রার পথ আরও মসৃণ করবে বলে আশা করা যায়।
নতুন এই নির্দেশিকায় আরও যে নিয়মগুলো রাখা হয়েছে সেগুলো হল- সবাইকে শান্ত থাকতে হবে। কোনও রকমের রাখঢাক চলবে না। যে সব বস্তু লঞ্চ করা হবে সেগুলো সমস্ত শনাক্ত করতে হবে এবং নথিভুক্ত করতে হবে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই সব নিয়ম যারা লঙ্ঘন করবেন তাদের সত্ত্বর কাজের জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে। এই নিয়মটির উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন ব্রিডেনস্টাইন।
কোনও দিক থেকে কোনও ত্রুটি যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থাই নিচ্ছে নাসা। পাশাপাশি, সমস্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য সবার সঙ্গে শেয়ার করা এবং সহজবোধ্য স্পেস সিস্টেম যাতে রাখা হয় এই বিষয়গুলোও নিয়মাবলীতে যুক্ত করা হয়েছে।
তবে নাসার এই আর্টেমিস চুক্তিতে আটটি দেশ থাকলেও মূল ক্ষমতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই থাকবে বলে জানা গেছে।