ময়লার স্তুপে বিটকয়েনের হার্ড ড্রাইভ অনুসন্ধান, খননের অনুমতির জন্য ৭ কোটি ডলারের প্রস্তাব
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/01/16/210115115542-james-howells-bitcoin-file-restricted-exlarge-169.jpg)
বিটকয়েন ভর্তি একটি হার্ড ড্রাইভ ফেলে দেয়া এক ব্রিটিশ নাগরিক দিশেহারা হয়ে এলাকার ময়লার স্তুপে তার হার্ড ড্রাইভ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ৭ কোটি ডলারের বদলে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ময়লার স্তুপে খনন কার্য চালানোর অনুমতিও চেয়েছেন তিনি।
৭ হাজার ৫০০ বিটকয়েন সম্বলিত হার্ড ড্রাইভ ফেলে দিয়েছিলেন জেমস হাওয়েলস নামের এ আইটি কর্মকর্তা। বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির আগে ৪ বছর আগেই বিটকয়েনগুলো জমা করেন তিনি।
সম্প্রতি বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির পর তিনি তার হার্ড ড্রাইভ খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারেন, তিনি ভুলবশত ওই হার্ড ড্রাইভটি ফেলে দিয়েছেন।
বিগত মাসগুলোতে বিটকয়েনের মূল্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায়, তার হার্ড ড্রাইভ খোঁজার জন্য খনন কার্যের অনুমতি নিতে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিল বরাবর আবেদন করেছেন তিনি। এর বদলে তিনি প্রশাসনকে তার জমানো বিটকয়েনের মূল্যের এক-চতুর্থাংশ দেয়ার প্রস্তাব করেন।
সাতোশি নাকামোতো নামে পরিচিত এক অজ্ঞাত পরিচয়ের কম্পিউটার প্রোগ্রামার ২০০৯ সালে বিটকয়েনের প্রবর্তন করেন। বর্তমানে বিটকয়েনের মূল্যমান প্রায় ৩৭ হাজার ডলার।
হাওয়েলসের জমানো বিটকয়েনের মূল্য যখন ৯০ লাখ ডলার ছিল, তখনই তিনি হার্ড ড্রাইভটি হারিয়ে ফেলেন। বর্তমান মূল্য অনুযায়ী তার বিটকয়েনের মূল্য দাঁড়াতে পারে প্রায় ২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণের জন্য নিউপোর্ট প্রশাসনকে তার বিটকয়েনের মূল্যের ২৫ শতাংশ অনুদানের প্রস্তাব দিয়েছেন। এরফলে পুরো শহরে সব বাসিন্দা ২৩৯ ডলার করে পাবেন। তবে নগর প্রশাসন তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তার সাথে আলোচনায় বসতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বিস্তীর্ন ময়লার স্তুপের সম্পূর্ণ এলাকায় গ্রিড রেফারেন্স সিস্টেম অনুযায়ী খনন চালিয়ে হার্ড ড্রাইভ খুঁজে বের করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে বেশ কয়েকবার ময়লার স্তুপ থেকে বিটকয়েন সম্বলিত হার্ডওয়্যার খুঁজে বের করার ব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদেরও অত্র এলাকা খননের অনুমতি নেই বলে জানান তিনি।
- সূত্র: সিএনএন