ই-কমার্স নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠন করবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
অনিয়মে ভরা দেশের ই-কমার্স খাতকে নিয়মের ভেতর আনতে একটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এর পাশাপাশি, একের পর কেলেঙ্কারিতে বেসামাল এই খাতের জন্য একটি ই-কমার্স আইন ও একটি কেন্দ্রীয় অভিযোগ সেল গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।
ই-কমার্স খাতের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, "ইতোমধ্যে যেসব কোম্পানি প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অর্থ পাচার আইন সংশোধন করা হবে।"
তিনি বলেন, "যুবক, ডেস্টিনির সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকদের রিফান্ড করার বিষয়ে আইনে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলোর সমাধান করার দায়িত্ব আইনমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।"
"ইভ্যালির সিইও, চেয়ারম্যান জেলে আছে। ধামাকার কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১০-১২ টা কোম্পানির জন্য ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না। ফ্রড কোম্পানিগুলার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটা আমরা নেব।"
তিনি বলেন, "৪ জুন এসক্রো সার্ভিস চালুর আগ পর্যন্ত ই-কমার্সে ৬ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এরপর ৪০০ কোটি টাকা এসক্রো এর মাধ্যমে অর্ডার হয়েছে, আর ২০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।"
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, "ইভ্যালি, যুবক- যার কথাই বলেন, টাকা ব্যাক করার মতো অ্যাসেটই তাদের নাই। ইভ্যালি বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশিপে অনেক টাকা অপচয় করেছে। আলেশা মার্ট এখনো সেরকম করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করবো গ্রাহকরা যাতে প্রতারণার শিকার না হয়। সবাইকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার নিতে হবে।"
ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দায় এড়াতে পারে না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, "দায় আছে বলেই আমরা মিটিং করেছি। আমরা দায় এড়াতে চাচ্ছিও না।"
তিনি বলেন, "অর্থপাচার আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এতোই দুর্বল যে ইভ্যালি বা অন্য কোম্পানিগুলোর মালিকদের বেশিদিন জেলে রাখা যাবে না। আইনমন্ত্রী আজকে আমাদের বলেছেন, তিনি এমনভাবে এই দুইটা আইন সংশোধন করবেন, যাতে এ ধরণের ফ্রডরা সহজে জেল থেকে বের হতে না পারে।"