পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ও কন্টেইনারের সংকট নেই: নৌপরিবহন সচিব
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন করতে জাহাজ এবং খালি কন্টেইনারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।
বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে 'চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানীপণ্য জাহাজীকরণ সংক্রান্ত' এক ভার্চুয়াল সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, "চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানিপণ্য জাহাজীকরণে বড় ধরনের কোন সমস্যা নেই। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে জাহাজ এবং খালি কন্টেইনারের সংকট নেই। গত ১৫ দিনে বাংলাদেশ হতে ২৬টি জাহাজ ছেড়ে গেছে; সেগুলোর ক্যাপাসিটি ছিল ৩৮,০০০ টিইইউএস (বিশ ফুটের কন্টেইনার)। কিন্তু জাহাজগুলো পণ্য পরিবহন করেছে ২৭,০০০ টিইইউএস। অর্থাৎ ১১,০০০ টিইইউএস স্পেস অব্যবহৃত থেকেছে। চট্টগ্রাম বন্দর এবং বিভিন্ন অফডকে প্রায় ৪০,০০০ টিইইউএস খালি কন্টেইনার রয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবারের এই সভা থেকে জানানো হয়েছে, পণ্য ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘন্টা চালু রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমনজনিত লকডাউনের সময়েও চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘন্টা চালু রয়েছে। জাহাজ থেকে পণ্য এবং কন্টেইনার আনলোডিং, আমদানীকারক বরাবর ডেলিভারী এবং রপ্তানী কন্টেইনার জাহাজে বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
সেখানে বলা হয়, "চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩০,৯৭,২৩৬ টিইইউএস কন্টেইনার, ১১,৩৭,২৯,৩৭৩ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৪,০৬২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে। যেখানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩০,০৪,১৪২ টিইইউএস কন্টেইনার, ১০,১৫,৬৫,২৭২ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩,৭৬৪টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কার্গো, কন্টেইনার এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১১.৯৮%, ৩.০৯% এবং ৭.৯২% ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।"
সভায় আরো জানানো হয় যে, ছোট খাটো যেসব সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। ভবিষ্যতে বন্দরের চাহিদা মোকাবেলা করা এবং সম্ভাব্য সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশন (বাফা), বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো এসোসিয়েশন (বিকডা) এবং সংশ্লিষ্টরা যুক্ত থাকবে।