লকডাউনে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম
লকডাউনে সাপ্তাহিক ও ছুটির দিন বাদে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) সর্বোচ্চ দুটি শাখা (একটি ঢাকায়, অপরটি ঢাকার বাইরে) এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব ফাইনানসিয়াল ইন্সটিটিউশন্স এন্ড মার্কেটস (ডিএফআইএম)।
এতে বলা হয়, ২০ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপন অনুসারে এই নির্দেশনা ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এর প্রথম ধাপের লকডাউনে (৫-১১ এপ্রিল) নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) ক্ষেত্রে কার্যক্রম সীমিত করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সীমিত করা হলেও কতটি শাখা খোলা থাকবে তা বলা ছিল না।
এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের সময় (১৪-২১ এপ্রিল) ব্যাংকের ক্ষেত্রে নির্দেশনা থাকলেও এনবিএফআই গুলোর বিষয়ে কোন নির্দেশনা ছিল না।
এই সময়ে আগের নির্দেশনা অনুসরণ করেই এনবিএফআই গুলো অত্যন্ত সীমিত আকারে কার্যক্রম চালিয়েছেন বলে জানান বিডি ফাইন্যান্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার হামিদ।
তিনি বলেন, এখন তৃতীয় ধাপের লকডাউনে নতুন নির্দেশনায় আসায় তাদের জন্য সুবিধা হলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এনবিএফআই গুলোর বেশির ভাগই ঢাকা কেন্দ্রিক। ঢাকার বাইরে গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আছে।
যেহেতু লকডাউনের মাঝেও কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে তাই সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে এবং একটি প্রতিষ্ঠানের মাত্র দুটি শাখা খোলার রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের (১৪-২১ এপ্রিল) লকডাউনে এনবিএফআই গুলোর কার্যক্রম সীমিত করার বিষয়ে কেন নির্দেশনা আসেনি জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা বলেন, তারা পরিস্থিতি পরযবেক্ষণ করছিলেন তাই নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
বুধবারের সার্কুলারে বলা হয়, গ্রাহকদের হিসাবে মেয়াদপূর্তিতে স্থায়ী আমানত নগদায়ন, ঋণের কিস্তি জমা দেয়াসহ জরুরি আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে প্রয়োজনীয় জনবলের বিন্যাস ও উপস্থিতির বিষয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বীয় বিবেচনায় সম্পন্ন করবে।