যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অনুমোদন
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
বিবিসি'র এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের টিকাদান কর্মসূচির জন্য এটিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ৫ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে টিকাটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে ১০ কোটি ডোজের ক্রয়াদেশ এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এই অনুমোদনের অর্থ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন টিকাটি নিরাপদ এবং কার্যকর।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে বানানো এই ভ্যাকসিনটির প্রথম ডিজাইন করা হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এপ্রিলে প্রথমাবারের মতো একজন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রবেশ করিয়ে এর কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য প্রথম ট্রায়াল চালানো হয়। এরপর থেকে দেশে বিদেশে হাজারো লোকের শরীরের ভ্যাকসিনটি প্রবেশ করিয়ে বড় পরিসরে ট্রায়াল চালানো হয়।
অক্সফোর্ডসহ অন্যান্য কোম্পানিগুলো যে গতিতে মাত্র এক বছরের মধ্যে বাজারে ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে করোনা মহামারির আগে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। একেকটি ভ্যাকসিন বাজারে পর্যন্ত আসতে সাধারণত আট থেকে দশ বছর লেগে যেতো।
যুক্তরাজ্যে ফাইজারের টিকার অনুমোদনের পর দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটি হলো অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশেও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে আসছে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানী বেক্সিমকো।
কয়েকধাপে সারাদেশের মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার একটা মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।