বড়দিনের আগেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন
এবছরের শেষ নাগাদ স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি কাজে নিযুক্ত কর্মীদের জন্য অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সহজলভ্য হবে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গবেষণা দলের প্রধান আদ্রিয়ান হিল। খবর দ্য ডেইলি মেইলের।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আদ্রিয়ান জানান, চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলাকালীন সময়ে ভ্যাকসিনের জরুরী অনুমোদন অধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
২০২১ সালে ভ্যাকসিনের পূর্ণ অনুমোদনের পরই ভ্যাকসিনটি সার্বজনীন ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য হবে। তিনি জানান, আসন্ন বড়দিনের পূর্বেই জরুরি অনুমোদনের আওতায় ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি শুরু করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আগামী বছরের মধ্যভাগেই অন্তত আমাদের দেশে মহামারির প্রকোপ কমে আসবে বলে আশা করছি। টিকাদানের মাধ্যমে অনাক্রম্যতা (হার্ড ইমিউনিটি) অর্জনের পথেই হাঁটছি আমরা।'
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রথম দুই পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও মানবদেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা উজ্জীবিত করতে সক্ষম। বর্তমানে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদনের জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে সারা বিশ্বের মানুষ। বেশ কিছু প্রার্থী ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে ইতোমধ্যেই, তবে এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছাতে অন্তত একবছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
১৬ মার্চ প্রথম প্রার্থী ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়। পরীক্ষাধীন ২০০টির মতো ভ্যাকসিনের মধ্যে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে ৪৪টি ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনের পরীক্ষা, উৎপাদন ও সরবরাহে সাধারণত কয়েক বছর সময় লাগে। সবচেয়ে দ্রুত সময়ে অনুমোদন পায় মাম্পসের ভ্যাকসিন, ১৯৬০ এর দশকে চার বছর পর সহজলভ্য হয় এই ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন গবেষকরা জানিয়েছেন প্রথম ভ্যাকসিনের অনুমোদন পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালের শেষদিকে ২ বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। অ্যাক্টিভ, ইনঅ্যাক্টিভেটেড, ডিএনএ, আরএনএ/এমআরএনএ ভিত্তিক, ভাইরাস ভেক্টর এবং প্রোটিন সাব ইউনিট- এধরণের বিভিন্ন পন্থা অনুসরণ করে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কোনো ভ্যাকসিনকে তিন ধাপের ট্রায়ালে সফল হতে হবে।