মে মাসে রুশ তেলের উৎপাদন বেড়েছে ৫ শতাংশ
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে বেড়েছে ৫ শতাংশ। রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম ভেদোমস্টিকে জানিয়েছে দেশটির শিল্প পরিসংখ্যানের সাথে যুক্ত একটি সূত্র।
ভেদোমস্টির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মে তে রুশ তেল উৎপাদিত হয়েছে ৪৩.১ মিলিয়ন টন।
তবে, গত বছরের মে মাসের তুলনায় এবার উৎপাদন কমেছে ২.৫ শতাংশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে দৈনিক ১১.১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদিত হয়; মার্চে উৎপাদিত হয় ১১ মিলিয়ন ব্যারেল।
কিন্তু এপ্রিলে এই পরিমাণ কমে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদিত হয় রাশিয়ায়। এরপর মে মাসে তা আবার বেড়ে দাঁড়ায় ১০.২ মিলিয়ন ব্যারেলে।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক মে মাসের শেষের দিকে বলেন, চলতি বছর রাশিয়ায় তেলের উৎপাদন কমে ৪৮০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন টনে নেমে আসতে পারে; যেখানে গত বছর ছিল ৫২৪ মিলিয়ন টন।
ভেদোমস্টির প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি-মে মাসে রাশিয়ায় তেল উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ৩.৪ শতাংশ বেড়ে ২১৯.৯ মিলিয়ন টন হয়েছে।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে মস্কোর অনুপ্রবেশের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপের প্রভাবে রাশিয়ার তেল উৎপাদন প্রভাবিত হয়।
এই নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ান তেলের বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করছে ইইউ, যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা। এমনকি ইইউ রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের আমদানি ৯০ শতাংশ কমানোর আশা করছে।
এদিকে, তেল আমদানি কমানোর বিষয়ে ইইউর উদ্যোগকে 'আত্ম-ধ্বংসাত্মক' বলে অভিহিত করেছে মস্কো।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, "ইউরোপীয় ইউনিয়নের রুশ তেল ও তেলজাতীয় পণ্যের আমদামি কমানোর মতো সিদ্ধান্ত আসলে আরও মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জ্বালানি বাজারকে অস্থিতিশীল করবে। সেইসাথে ব্যাঘাত ঘটবে সাপ্লাই চেইনে।"