বাংলাদেশের কাছে এখন অন্ধকারই ‘ভালো’
গিয়ে থাকা দলের ফুটবুলাররা কালক্ষেপণে বেশ পটু। সুযোগ পেলেই বল এদিক-সেদিকে পাঠিয়ে সময় নষ্ট করেন তারা। তবে ফুটবল ম্যাচে সময় নষ্ট হলে দেওয়া হয় বাড়তি সময়ও। ক্রিকেটে সময় নষ্ট করার তেমন সুযোগ না থাকায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সেটা করতে পারছেন না। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে অন্ধকার হয়ে আসা পরিবেশ নিশ্চয়ই মনে ধরছে তাদের!
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে কোণঠাসা অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। কেবল প্রকৃতির বাগড়াই বাঁচিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশকে। প্রকৃতির সুবিধা অবশ্য ইতোমেধ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শেষে আলোর স্বল্পতার কারণে আগেই খেলা শেষ হয়। এতে জয়ের সন্ধানে থাকা শ্রীলঙ্কার আক্ষেপ কাজ করলেও বাংলাদেশ নিশ্চয়ই কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে।
৪৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের, পরের ব্যাটসম্যানরাও নিতে পারেননি দলের দায়িত্ব। ৪৮ ওভারে ১৭৭ রান তুলতেই ৫ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা। আউট হয়ে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। তামিম ২৪, সাইফ ৩৪, শান্ত ২৬, মুমিনুল ৩২ ও মুশফিক ৪০ রান করেন।
৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের চতুর্থ দিন শেষ করতে পারার পেছনে অবদান আছে বৈরী আবহাওয়ারও। আলো স্বল্পতার কারণে ১২ ওভার আগেই দিনের খেলা শেষ করার ঘোষণা দেন আম্পায়ার। না হলে আরও দুই-একটি উইকেট হারাতে পারতো মুমিনুল হকের দল।
বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এখনও বেশ বড়। জিততে হলে করতে হবে আরও ২৬০ রান। হাতে আছে ৫ উইকেট। ৫ উইকেটে এই রান তোলা বা পঞ্চম দিন পার করে টেস্ট ম্যাচটি ড্র করা বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন কাজ। চতুর্থ দিনশেষে লিটন কুমার দাস অপরাজিত আছেন ১৪ রানে, মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ রানে।
বাকি ৫ ব্যাটসম্যানের মধ্যে এই দুজনই কেবল ব্যাট চালাতে জানেন। সেদিক থেকে মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান হাতে আছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে হারের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনের সকাল বা দুপুরের মধ্যেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
প্রথম ইনিংসেই ২৪২ রানের লিড পাওয়া শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তোলে। ৪২.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। এই ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি এবং তাসকিন আহমেদ ও সাইফ হাসান একটি করে উইকেট পান।