বাংলাদেশের সামনে কঠিন লক্ষ্য
প্রথম দুই ওয়ানডেতে সেভাবে লড়তেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে এসে দারুণ ব্যাটিং করলো লঙ্কানরা। তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ের পরও স্কোরকার্ডে ২৮৬ রান জমা করেছে সফরকারীরা।
এই রান পাড়ি দিতে বাংলাদেশকে রেকর্ড গড়তে হবে। লঙ্কানদের বিপক্ষে এতো রান তাড়া করে কখনই জেতেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া ২১৩, বগুড়ায় ২০০৬ সালে। এই ম্যাচে জিতলে সেটা হবে বাংলাদেশের অষ্টম সর্বোচ্চ রান তাড়া।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে সেভাবে লড়তেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে এসে দারুণ ব্যাটিং করলো লঙ্কানরা। তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ের পরও ৬ উইকেটে স্কোরকার্ডে ২৮৬ রান জমা করেছে সফরকারীরা।
এই রান পাড়ি দিতে বাংলাদেশকে রেকর্ড গড়তে হবে। লঙ্কানদের বিপক্ষে এতো রান তাড়া করে কখনই জেতেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া ২১৩, বগুড়ায় ২০০৬ সালে। এই ম্যাচে জিতলে সেটা হবে বাংলাদেশের অষ্টম সর্বোচ্চ রান তাড়া।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এরচেয়ে কম রানও তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ২২২ রানের জবাবে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে মিরপুরে ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছিল ১৬৭ রানে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের রেকর্ডের দিক থেকেও বাংলাদেশের জন্য ২৮৭ রান বড় লক্ষ্য। এই মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ এশিয়া কাপে ভারতের দেওয়া ২৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া ৩০৮ রানের। ২০১৩ সালে ফতুল্লায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশাল এই রান তাড়ায় ৪ উইকেটে জিতেছিল মুশফিকুর রহিমের দল।
শুক্রবার মিরপুরে ২৮৬ রান তোলার পথে শ্রীলঙ্কার নেতৃত্বে ছিলেন অধিনায়ক কুশল পেরেরা। বাঁহাতি এই ওপেনার ১২২ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ১২০ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। যদিও ৬৬ রান করেই থামতে পারতেন তিনি। কিন্তু মুস্তাফিজর রহমান তার ক্যাচ নিতে পারেননি। পরে আরও দুবার জীবন পেয়ে ১২০ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক।
দানুশকা গুনাথিলাকা ও কুশল পেরেরা দাপুটে শুরুই করেন। ১১.২ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতে ৮২ রান যোগ করেন তারা। গুনাথিলাকা ৩৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৯ রান করে ফিরলেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কুশল। লঙ্কান অধিনায়কের পর শ্রীলঙ্কার ইনিংস টেনেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান হার না মানা ৫৫ রান করেন।
এ ছাড়া কুশল মেন্ডিস ২২ ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৮ রান করেন। ৪৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তাসকিন। এই ম্যাচে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট পূর্ণ হয়েছে তার। তাসকিনের উইকেটষংখ্যা এখন ৫২টি। একটি উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ১০ ওভারে ৪৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য থেকে গেছেন। যদিও দুটি উইকেট পেতে পারতেন তিনি। কিন্তু তার বলে ওঠা ক্যাচ নিতে পারেননি মুস্তাফিজ ও আফিফ।