‘বোর্ডের বিরুদ্ধে সাকিব এভাবে কথা বলতে পারে না’
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফেরা হয়নি সাকিব আল হাসানের। এটা স্বাভাবিক নিয়মের কারণেই। পরবর্তী কেন্দ্রীয় চুক্তিতে যে সাকিব থাকবেন, এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত বা চলমান কোনো ক্রিকেটার বোর্ডের বিরুদ্ধে এভাবে কথা বলতে পারেন না বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
শনিবার একটি ফেসুবক লাইভে বোর্ড সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব। যেখানে নিজের পাঠানো ছুটির আবেদনের ভুল ব্যাখ্যা দাবি করাসহ, ক্রিকেটার তৈরির প্রক্রিয়া ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) ব্যাপক সমালোচনা করেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। সাকিবের সমালোচনায় দুর্জয় রীতিমতো বিস্মিত। তার মতে, সাকিব এটা কোনোভাবেই করতে পারেন না।
রোববার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনে জরুরি এক বৈঠকের পর দুর্জয় বলেন, 'আমার জানা মতে বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত বা চলমান কোনো ক্রিকেটার বোর্ডের বিরুদ্ধে বলতে পারে না। তো সেই ব্যাপারে বোর্ডে আলাপ আলোচনা করে এই ইস্যুগুলোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া আরো বড় পরিসরে আলোচনা করে দিব।'
ফেসবুক লাইভে এইচপির সমালোচনা করে সাকিব বলেছিলেন, 'শেষ ৪-৫ বছরে এইচপি থেকে কয়টা ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে অনেকেই আছেন, যারা ক্রিকেট খেলেছেন এর আগে, যারা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তবে আমার মনে হয় সুজন ভাই ছাড়া এখানে অন্য কারও সম্পৃক্ততা নেই। যারা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে, তাদের নিয়েই আমরা অনেক বেশি স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি।'
সাকিব এমন মন্তব্যে বেজায় নাখোশ এইচপির দায়িত্বে থাকা দুর্জয়। বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের মন্তেব্যের বিরোধীতা করে তিনি বলেন, 'আমার কাছে শেষ ৪-৫ বছরের লিস্ট আছে। কারা কারা উঠেছে। যদি আপনারা বলেন তো আমি দিতে পারব। এতোগুলো ক্রিকেটার যেখানে এইচপি খেলে এসেছে, সেখানে এইচপির কার্যকারিতা নিয়ে কথা বলেছে। আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এইচপির অনেক খেলোয়াড় এখনই জাতীয় দলে আছে। এই তো সেদিন এইচপি আয়ারল্যান্ডের যুবাদের সঙ্গে খুব ভাল খেললো।'
এইচপি নিয়ে সাকিব আরও বলেছিলেন, 'এর আগের দলগুলোতেও বেশ ভালো কিছু খেলোয়াড় ছিল। তারা যেমন এইচপি-একাডেমির দলগুলোতে থাকবে, ওখান থেকে ভালো করে আসবে। তাদের তৈরি করার যে জায়গাটা- এইচপি বা একাডেমি এই জায়গাগুলোতে কী কাজটা করেছে গত ৪-৫ বছরে? যদি চেষ্টা করতো তাহলে তো খেলোয়াড় থাকতো।'
সাকিব এমন মন্তব্য করলেও দুর্জয়ের দৃষ্টিতে এইচপির অনেক উন্নতি হয়েছে। এমন সব মন্তব্যের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তা নিয়ে উল্টো প্রশ্ন এচপি প্রধানের, 'আপনারা সবাই জানেন যে এইচপি চার-পাঁচ বছর আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায়। আমাদের অনূর্ধ্ব- ১৯ এর ক্রিকেটাররা এইচপি হয়ে জাতীয় দলে কিন্তু বেশ কয়েকজন খেলেছে এবং পারফর্ম করেছে। তো সেটা আসলে একেবারেই খোলা চিত্র। এইচপি যখন ভাল করছে, তখন এই কথা বলা, এই প্রশ্ন তোলা আমার কাছে খুব বিস্ময়ের। এর পেছনে কিছু আছে না কিনা আমি জানি না।'