বেনজেমার মাথায় উয়েফা সেরার মুকুট
করিম বেনজেমার গত মৌসুমটা কতোটা ঝলমলে ছিল, সেটা সবারই জানা। রিয়াল মাদ্রিদ ও জাতীয় দলের হয়ে স্বপ্নের মতো সময় কাটে তার। প্রত্যাশিতভাবেই এই বছরের ব্যালন ডি'অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়েছে রিয়ালের ফরাসি এই স্ট্রাইকারের। এর আগে আরেকটি পুরস্কার ঝুলিতে পুড়লেন তিনি। উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন বেনজেমা।
রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ থিবো কোর্তোয়া ও ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনেকে পেছনে ফেলে বর্ষসেরার পুরষ্কার জেতেন বেনজেমা। গতবার পুরষ্কারটি জেতেন চেলসির ইতালিয়ান মিড ফিল্ডার জর্জিনহো।
বৃহস্পতিবার রাতে ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সেরা খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণা করে উয়েফা। বর্ষসেরা নারী ফুটবলার হয়েছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ তারকা আলেক্সিয়া পুতেয়াস। এ ছাড়া বর্ষসেরা নারী কোচ হয়েছেন ইংল্যান্ডের ইউরো বিজয়ী কোচ সারিনা ওয়েগমান।
গত মৌসুমে রিয়ালের রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল বেনজেমার। দলের দুঃসময়ে তিনি ছিলেন কাণ্ডারীর ভূমিকায়। যখনই দল বিপদে, তখনই আলোক বর্তিকা হাতে ছুটে এসেছেন তিনি। ১৫ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন বেনজেমা। এর মধ্যে ১০টি গোলই করেন নকআউট পর্বে।
ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার-ফাইনালে বেনজেমার হ্যাটট্রিকেই পিএসজি ও চেলসিকে হারায় রিয়াল। সেমি-ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ভাগ্য নির্ধারণী গোলটিও করেন তিনি।
একইভাবে লা লিগায়ও দুর্বার ছিলেন বেনজেমা। রিয়ালের শিরোপা জয়ের মিশনে ৩২ ম্যাচে ২৭ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন তিনি। অবশ্য শুধু ক্লাবেই নয়। ফ্রান্সের নেশন্স লিগ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বেনজেমা। চার দলের ফাইনালসের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে একটি করে গোল করেন তিনি।