শামীম ঝড় থামিয়ে দারুণ জয়ে শুরু মিরাজের খুলনার
প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ঝড় উঠলে চিন্তা বাড়ে ফিল্ডিং করা দলের। আজ শামীম হোসেন পাটোয়ারীর তাণ্ডবে তেমনই চিন্তায় পড়ার কথা খুলনা টাইগার্সের। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি, দুঃচিন্তায় পড়ে গেছে; দলটির ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষা দেখেও তেমন মনে হয়নি। একে তো তাদের ঝুলিতে ছিল বিশাল সংগ্রহ, তার ওপর চিটাগং কিংসের ছিল বেহাল দশা। সেই অবস্থা কাটিয়ে জয় ছিনিয়ে নিতে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো শামীমকে।
খুলনার বোলারদের শাসন করে চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজালেও সেই অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারেননি শামীম। অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠা হার থেকে চিটাগংকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। তার দুর্বার ব্যাটিং কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। দাপুটে ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়া খুলনা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু করেছে দারুণ এক জয়ে। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিটাগং কিংসকে ৩৭ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে খুলনা টাইগার্স। উইলিয়াম বসিস্তোর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর শেষ দিকে ঝড় তোলেন ম্যাচসেরা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এই দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২০৩ রান তোলে খুলনা। বিপিএলে আগে ব্যাটিং করে এটা তাদের চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে খুলনার আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ নওয়াজদের বোলিংয়ের সামনে দিক হরানো চিটাগংয়ের পক্ষে শামীম ছাড়া কেউ-ই লড়তে পারেননি। খুনে ব্যাটিং করা শামীম ছাড়া কেউ ২০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। ১৮.৫ ওভারে ১৬৬ রানে থামে চিটাগংয়ের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় চিটাগংয়ের ইনিংসে একটি নামই কেবল উল্লেখ করার মতো, তিনি শামীম। দল কোণঠাসা অবস্থায় থাকলেও উইকেটে গিয়েই ঝড় তোলেন শামীম। ব্যাটকে তরবারিতে পরিণত করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস, ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। নাঈম ইসলাম ১২, পারভেজ হোসেন ইমন ১৩, উসমান খান ১৮ রান করেন। শেষ দিকে ৪ বলে ১৪ রান করেন খালেদ আহমেদ। ৪৪ রানে ৪টি উইকেট নেন আবু হায়দার। দুর্বার নওয়াজ ৩ ওভারে ১৩ রান নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ওশানে থমাস, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ ও মিরাজ।
এর আগে ব্যাটিং করা খুলনাকে পথ দেখান বসিস্তো ও অঙ্কন। পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়া এ দুজন চিটাগংয়ের বোলারদের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্নে পরিণত হন। ৩৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ৫০ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৭৫ রান করেন বসিস্তো। শেষ দিকে দলের রান বাড়ানো অঙ্কন মাত্র ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২২ বলে একটি চার ও একটি ছক্কায় হার না মানা ৫৯ রান করেন। নাঈম শেষ ২৬ ও মিরাজ ১৮ রান করেন। চিটাগংয়ের আলিস আল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।