মুশফিকের ভাবনায় নেই জাতীয় দল
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে মুশফিকুর রহিম। দলের ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশনে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ৮ ম্যাচে ২০.৫৭ গড়ে মাত্র ১৪৪ রান করেন তিনি। দলের বাকিরাও ছিলেন ব্যর্থতার বৃত্তে। যার প্রভাব পড়ে ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজে। দলে আনা হয় অনেক পরিবর্তন, মুশফিককে বাদ দেওয়া হয়।
এরপর সিরিজ না থাকায় জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি তার। আগামী এক মাস সময় কাটবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলে। আসরটিতে খুলনা টাইগার্সের নেতৃত্বে আছেন মুশফিক। বিপিএলটা তার কাছে নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ। আপাতত তাই জাতীয় দল নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।
জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টি ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে মুশফিক বলেন, 'আমি কামব্যাক বা জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা করছি না। চিন্তা করছি বিপিএল নিয়ে। বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আমি। আমার কাছে এটা অন্য রকম চ্যালেঞ্জ, যেন ওই জায়গাটা ধরে রাখতে পারি। ভবিষ্যতে কী আসবে না আসবে, তা নিয়ে একদমই ভাবি না। চেষ্টা করি দলের জন্য, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। যেহেতু আমাকে সরাসরি দলে নিয়েছে, তার প্রতিফলন যেন মাঠে দিতে পারি। এতটুকুই চিন্তা করছি।'
ব্যাট উঁচিয়ে সেঞ্চুরি বা হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করে থাকেন ব্যাটসম্যানরা। এবারের বিপিএলে রানের ফোয়ারা বইয়ে দিয়ে বারবার ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে চান মুশফিক। খুলনা অধিনায়কের ভাষায়, 'অন্তত ১০টি ম্যাচ তো খেলার সুযোগ পাব। চেষ্টা করব যেন ১২-১৩টা ম্যাচ খেলা যায়, আর যতবার সম্ভব ব্যাট ওপরে উঠানো যায়।'
অবশ্য দলের জন্য অবদান রাখাই মুশফিকের কাছে শেষ কথা। তিনি বলেন, 'সবাই তো চায় টপ অর্ডার হিসেবে ভালো রান করতে। তবে ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়ে দলগত লক্ষ্য আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর রানার্স-আপ হয়েছি, দুইবার একশর কাছাকাছি গিয়েও সেঞ্চুরি পাইনি। তবে ওই দুই ম্যাচই জিতেছি। এটাই বেশি জরুরি। এবারও এমন চ্যালেঞ্জই থাকবে। চেষ্টা করব সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার। একইসঙ্গে ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে চাই, যেন দল ভালো ফলাফল পায়। ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়েও দলীয় লক্ষ্য বেশি যেন অর্জন করতে পারি।'
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে মুশফিক বলেন, 'খেলার আগের দিন আমার একটা ব্যক্তিগত প্রস্তুতি থাকে। ওগুলো নিজে নিজে করেছি। ওটার জন্যই আলাদা করে করা। নেটে ২ ঘণ্টা আসলে সবার জন্য যথেষ্ট না। প্রত্যেক স্কোয়াডে ১৮-২০ জন খেলোয়াড় আছে। চেষ্টা করেছি এদিক-ওদিক থেকে যতটুকু করা যায়। যেহেতু আমাদের সুযোগ-সুবিধা আছে, সেটা কাজে লাগানো।'
শুক্রবার মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল। শুরুর দিনেই মাঠে নামবে খুলনা টাইগার্স। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকদের প্রতিপক্ষ মিনিস্টার ঢাকা। ম্যাচটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে। এর আগে উদ্বোনী ম্যাচে বেলা দেড়টায় মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল।