দেশেই তৈরি হলো এবারের বিপিএলের ট্রফি, কমলো খরচ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত। ১৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগের দিন দুই দলের অধিনায়ককে নিয়ে ফটো সেশন করার কথা ছিল। কিন্তু পেটের পীড়ার কারণে সাকিব আল হাসান অনুপস্থিত থাকায় পূর্ণতা পায়নি ফটো সেশন পর্ব।
কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে মিরপুর স্টেডিয়ামে ফটো সেশনে অংশ নেন বরিশালের সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। যে ট্রফি জয়ের আশায় দুই দলের চোখের ঘুম হারাম, আগেরদিন আয়োজন করে করা হলো ফটো সেশন, সেই ট্রফি এবার দেশেই তৈরি করা হয়েছে।
প্রথমবারের মতো দেশেই তৈরি করা হলো বিপিএলের ট্রফি। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরটির আগের সাত আসরের ট্রফি আনা হয়েছে ইংল্যান্ড থেকে। লন্ডনের বিখ্যাত 'ইংকারম্যান' বিপিএলের আগের আসরগুলোর ট্রফি তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি তৈরি করে থাকে।
ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পরামর্শে তাদেরকে ট্রফি তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। এবারও একই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সেটা সম্ভব হয়নি। দেশীয় শীর্ষ একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এবার ট্রফি তৈরি করেছে বিসিবি। আগের নকশাই রাখা হয়েছে, তৈরি করা হয়েছে গোল্ড প্লেটিংয়ে।
ট্রফি তৈরির বিষয়টি নিয়ে দৃশ্যত কোনো জটিলতা না থাকলেও কথা বলতে চাইলেন না বিপিএল সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বললেন, 'আগের ট্রফিগুলো বেশ দামি ছিল। ১০-১৫ লাখ টাকায় বানানো। ইংল্যান্ড থেকে বানিয়ে আনা হয়েছিল। এবার আমরা সেই সুযোগ পাইনি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সবগুলো দলকে নিয়ে একটা ফটো সেশন করব। এ কারণে তখন ইংল্যান্ডে অর্ডার দেইনি, ওরা ঠিক সময়ে দিতে পারতো না। এ কারণে আমরা স্থানীয়ভাবেই আমরা বানানোর সিদ্ধান্ত নিই।'
এই কর্মকর্তা জানালেন, এবার ট্রফি তৈরিতে বিসিবির খরচ কমেছে। ২০১৯ বিপিএলের ট্রফি তৈরিতে বিসিবির খরচ হয়েছিল ১৫-১৬ লাখ টাকা। এবার বাংলাদেশে তৈরি হওয়ায় ব্যয় কমেছে বেশ। সাড়ে ৪ লাখ টাকায় এবারের ট্রফি তৈরি করা হয়েছে। তবে খরচ কমলেও মানের দিকে থেকে ট্রফিটা বেশ উন্নত বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'এটা বাংলাদেশের কারিগর তৈরি করেছে। প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ট্রফির জৌলুশ ভাবটা ধরে রাখার জন্য আমরা গোল্ড প্লেটিং করা হয়েছে। বাংলাদেশের টেকনোলজিতে সবচেয়ে সেরা ট্রফিটা বানানোর চেষ্টা করেছি আমরা। এর চেয়ে ভালো হয়তো সম্ভব নয়। আমরা ট্রফি নিয়ে সন্তুষ্ট।'