৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে বেলের ওয়েলস
ভাগ্যকেই হয়তো দুষবে ইউক্রেন। পুরো ম্যাচে তারাই ভালো খেললো, প্রাণ লাগিয়ে খেলে গেল রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার দেশটি। কিন্তু ওয়েলসের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালের ঠিকানা করে নিতে পারলো না তারা। উল্টো আত্মঘাতী গোলে প্রতিপক্ষের হাতে বিশ্বকাপের টিকেট তুলে দিল ইউক্রেন। ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে জায়গা করে নিলো ওয়েলস।
রোববার কার্ডিফে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ ফাইনালে ইউক্রেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট পেয়েছে ওয়েলস। গোল না করলেও জয়ে বড় অবদান রেখেছেন দলটির প্রাণ ভোমরা গ্যারেথ বেল। তার নেওয়া ফ্রি-কিক প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে বল জালে জড়ায়।
দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরিয়ে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার আনন্দে মেতেছে ওয়েলস। বিশ্বকাপে একবারই খেলেছে তারা। ১৯৫৮ সাল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নেয় ওয়েলস। ৬৪ বছর পর বিশ্ব মঞ্চে খেলার অপেক্ষায় ইতি টানলো তারা।
ইউক্রেনেরও অপেক্ষা ফুরানোর মিশন ছিল। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলার হাতছানি ছিল দেশটির সামনে। কিন্তু আত্মঘাতী গোলে অপেক্ষা বাড়লো তাদের। সর্বশেষ ২০০৬ বিশ্বকাপে খেলে ইউক্রেন, সেবার কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল তারা।
বল দখল, আক্রমণ করা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল ইউক্রেন। ৬৮ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে তারা। অবিরত আক্রমণ সাজিয়ে যাওয়া ইউক্রেন গোলমুখে ২২টি শট নেয়, এর মধ্যে ৯টি লক্ষ্যে ছিল। কিন্তু একবারও মেলেনি জালের দেখা। ৩২ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা ওয়েলস ১০টি শট নেয়, ৩টি ছিল লক্ষ্যে।
৩৪তম মিনিটে কপাল পোড়ে ইউক্রেনের। এ সময় ফ্রি-কিক পায় ওয়েলস। শট নেন ওয়েলস অধিনায়ক বেল। তার নেওয়া শট হেডে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন ইউক্রেন অধিনায়ক আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কো। কিন্তু বল তার মাথায় লেগে নিজেদের জালেই জড়িয়ে যায়।