আসামে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা; নেপাল সীমান্তে ভারতীদের ওপর গুলি
'গরু চুরির' অভিযোগ এনে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলায়। শনিবার রাতে আসামে যখন এ ঘটনা ঘটে, একইসময়ে 'গরুর খোঁজে' নেপাল-ভারত সীমান্তের 'নো ম্যান্স ল্যান্ডে' গিয়েছিলেন তিন ভারতীয় নাগরিক। এসময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে নেপালি পুলিশ যাতে গুরুতর আহত হয় একজন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, করিমগঞ্জ পুলিশের দাবি, বাংলাদেশি এই তিন নাগরিক গরু 'চুরির উদ্দেশ্যে' অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
ওই থানার এসপি কুমার সঞ্জিত কৃষ্ণ এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, পাথারকান্দির পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন বগরিজান চা বাগান এলাকায় শনিবার রাতে তিন অজ্ঞাত বাংলাদেশি সন্দেহভাজন অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত হয়েছে। আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে বাংলাদেশিরা বগরিজান এলাকা থেকে গরু চুরির উদ্দেশ্যে সীমান্ত অতিক্রম করেছে।
অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, শনিবার রাতে বিহারের কিষানগঞ্জ জেলার তেরহাগাছ ব্লকের ফতেহপুরের ভারত-নেপাল সীমান্তে তিন ভারতীয় নাগরিকের দিকে তাক করে গুলি ছোড়ে নেপাল পুলিশ।
কিষানগঞ্জের পুলিশ সুপার বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, "শনিবার রাতে কিষানগঞ্জ জেলায় তিন ভারতীয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে নেপাল পুলিশ। এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পূর্ণিয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। ওই তিনজন জানিয়েছেন, তারা নিজেদের গবাদি পশুর খোঁজ করছিলেন। সেই সময় (নেপাল) পুলিশ তাদের উপর গুলি চালিয়েছে। আমরা নেপাল পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তদন্ত চলছে।"
গত ১২ জুন একইভাবে বিহারের সীতামাঢ়ি জেলার সীমান্তে ভারতীয়দের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল নেপালের সীমান্ত বাহিনী। সোনেবর্সা থানার পিপরা-পারসাইন পঞ্চায়েতের অধীনে লালবন্দি-জানকীনগর সীমান্তের সেই ঘটনায় এক ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন চারজন।
অন্যদিকে গত ১ জুন আসামের করিমগঞ্জের একই এলাকায় এক বাংলাদেশিকে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে স্থানীয় লোকজন।