দেশে করোনা আক্রান্ত ৪৯, সুস্থ ১৯
দেশে আরও একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা। আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী, তার বয়স ২০ এর ঘরে। সোমবার করোনা ভাইরাস নিয়ে অনলাইনে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এই নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪৯ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ জন। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৮০ এবং দুইজন ষাটোর্ধ্ব।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৪ জন। তাদের মধ্যে একজন করে চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪ জন।
ব্রিফিংয়ে ফ্লোরা বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যাদের পরীক্ষা শেষে একজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৩৩৮টি করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করা হয়েছে। ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৯ জনের শরীরে।
এর মধ্যেই ৯২ হাজার টেস্ট কিট সংগ্রহ করা হয়েছে বলে এসময় জানায় সংস্থাটি। এছাড়া দেশের প্রায় সকল মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনার নমুনা সংগ্রহের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
ডা. মীরজাদি সেব্রিনা বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা যাদের বাড়িতে থাকতে বলছি তারা অবশ্যই বাড়িতে থাকেন। যদি বের হতেই তবে মাস্ক পরে বের হন।
তিনি আরও বলেন, নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলে আইইডিসিআরের হটলাইন কিংবা জেলা পর্যায়ের হট লাইনেও যোগাযোগ করার সুযোগ রয়েছে। আপনারা সরাসরি হাসপাতালে না গিয়ে হট লাইনে যোগাযোগ করুন। আমরা আবারও অনুরোধ করছি, আমাদের দেয়া পরামর্শগুলো মেনে চলার জন্য।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৬৬ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ২১ হাজার ৯৫৬ জনের শরীরে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩১২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৮ জন। এদের মধ্যে ৫ লাখ ৯ হাজার ৮৮৯ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ২৬ হাজার ৭৮৯ জনের অবস্থা গুরুতর।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৭ জনের শরীরে। সেখানে মারা গেছেন ২ হাজার ৪৮৪ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ হাজার ৬৮৯ জন। সেখানে মারা গেছেন ১০ হাজার ৭৭৯ জন।
ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩০০ জন।