প্রসাধনী আমদানির ঘোষণা দিয়ে এলো মাদকজাত দ্রব্য
প্রসাধনী সামগ্রী আমদানির ঘোষণা দিয়ে অতিরিক্ত এলকোহল জাতীয় মাদ্রকদ্রব্য নিয়ে আসার ঘটনায় একটি পণ্যের চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, চীনের রপ্তানিকারক ওয়াইআইডব্লিওইউ সিংঘুই ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কোম্পানী লি: থেকে ঢাকার প্রিমিয়ার ট্রেডিং প্রসাধনী সামগ্রী আমদানি করে। এই পণ্যের চালানে পাওয়া যায় অতিরিক্ত অ্যালকোহলের উপস্থিতি সম্পন্ন পণ্য।
চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিলো চট্টগ্রামে সিএন্ডএফ এজেন্ট নিউ স্টার এন্টারপ্রাইজ সিএন্ডএফ লি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম জানান, কসমেটিকস পণ্য সামগ্রীর ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে আসা চালানটির খালাস নিতে গত ৯ অক্টোবর বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর ১৬ অক্টোবর ওই চালানটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। চালানটিতে মাদকদ্রব্য থাকার বিষয়টি তখনই নজরে আসে।
তিনি বলেন, “খালাস স্থগিত করার পর আমদানিকারক প্রিমিয়ার ট্রেডার্স চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনারকে চালানটিতে মাদকদ্রব্য নেই উল্লেখ করে ইনভেন্ট্রি ( শতভাগ কায়িক পরীক্ষা) করার আবেদন জানায়। সেই অনুয়ায়ী ৬ নভেম্বর (বুধবার) চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ( চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনাল) ইয়ার্ডে ইনভেন্ট্রি করার পর চালানটিতে ৫৪ কেজি সীসা, ১৯২ কেজি চারকোল এবং ১৪৭ লিটার নিকোটিন সহ হর্নি পাওয়া গেছে।”
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ন কমিশনার এসএম শামছুজ্জামান বলেন, “ঘোষণা বর্হিভূত পণ্যে ০.৫% অ্যালকোহলের মাত্রা পাওয়া যায়। সাধারণত ০.২ % এর বেশি অ্যালকোহল থাকলে সেগুলো মাদকদ্রব্য হিসেবে বিবেচিত হয়। মিথ্যে ঘোষণা দিয়ে মাদকজাতদ্রব্য নিয়ে আসার ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হবে।”
এ বিষয়ে পণ্য খালাসের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান সিএন্ডএফ এজেন্ট নিউ স্টার এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর হোসাইন চৌধুরী বলেন, “আমদানিকারকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করি। চালানে কি পণ্য থাকে সাধারণত আমাদের জানার কথা নয়। এই ঘটনায় সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে আমাদের কোন দায় নেই।”