বাংলাদেশের করোনা টিকার সনদ পেল যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি
বাংলাদেশের করোনাপ্রতিরোধী টিকার সার্টিফিকেট যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে দেশটির অনুমোদিত টিকার তালিকা ও সনদ স্বীকৃতিতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়েছে।
আগামী সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা থেকে এই অনুমোদন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের পরিবহন বিভাগ।
শুক্রবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, "বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশন এখন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত। আমাদের মিশন তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে আমাদের প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছে এবং এরই ফলশ্রুতিতে তারা আমাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা আগামী সোমবার (১১ অক্টোবর,২০২১) ভোর ৪টা থেকে কার্যকর হবে"।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, "এই সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেরই প্রতিফলন করছে এবং এটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন এবং প্রয়োজনীয় ভ্রমণের অবশিষ্ট বাধা দূর করার জন্য হাইকমিশনের স্থায়ী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল"।
তিনি জানান, ১১ অক্টোবর স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে যুক্তরাজ্য-অনুমোদিত টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীদের আর ১০ দিনের হোটেল বা হোম কোয়ারেন্টিন অথবা কোভিড-১৯ প্রি-ডিপারচার টেস্টের প্রয়োজন পড়বে না।
তবে যুক্তরাজ্যে আসার পর দ্বিতীয় দিন বা তার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা ভালো।
টিকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে প্রত্যেক ভ্রমণকারীর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত টিকার সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
এছাড়াও যেসব ভ্রমণকারী যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত টিকার পূর্ণ ডোজ সম্পন্ন করেননি তাদের ১০দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং কোয়ারেন্টিন চলা অবস্থায়ই দ্বিতীয় ও অষ্টম দিন কোভিড-১৯ টেস্ট করতে হবে।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্য সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার 'রেড লিস্ট' থেকে বাদ দেওয়া হয়, যা পরে যা ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা থেকে কার্যকর হয়।