সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: পীরগঞ্জে গ্রেপ্তার ৫৬
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার করিমপুর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় পুলিশ অন্তত ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেশ চন্দ্র দাস বলছেন, করিমপুর গ্রামে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের জন্য দায়ী ব্যক্তিরা জামায়াত শিবিরের সদস্য।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "এ ঘটনার সাথে জামায়াত শিবিরের সদস্য জড়িত। তবে পুলিশ সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে"।
এদিকে এখনো আগুনে পোড়া গন্ধ ভাসছে করিমপুর কসবা গ্রামের বাতাসে; পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ঘরের টিন ও আসবাবপত্র।
ক্ষতিগ্রস্ত সুজন রায় বলছেন, তারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। অথচ তাদের উপর কেনইবা এভাবে অত্যাচার করা হলো! বর্তমানে খেলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন তারা।
মিনতি রানি বলেন, তারা গরীব ও অসহায় বলেই তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয় তবু হিন্দু হওয়াটাই যেন তাদের দোষ!
আতঙ্ক আর ভয় এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেন নি এই মানুষগুলো; তাণ্ডবের আতঙ্কে রয়েছে ১৩৫ পরিবার। এখনো গ্রাম থেকে পালিয়ে আছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
চাপা আতঙ্ক থাকলেও পেটের দায়ে বাইরে বের হতে হচ্ছে অনেককে।
তবে আরেকজন ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামলী রানী জানান, সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। সরকার নতুন টিনের ঘর ও টাকা দিয়েছে। সাথে আছে পুলিশী পাহারা।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী আরো সহযোগিতা দেয়া হবে। তিনি আরও জানান, করিমপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে। অতি দ্রুত বরাদ্দ পাওয়া যাবে। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে বিভিন্ন সংগঠন থেকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।