সিস্টেমে ত্রুটির কারণে মালয়েশিয়ায় যেতে কর্মীদের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
সিস্টেমে ত্রুটির কারণে মালয়েশিয়ায় যেতে কর্মীদের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর অডিটোরিয়ামে 'রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত 'অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলন ২০২৩' শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, "মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে আমরা হিসাব করে দেখেছি যে অভিবাসন ব্যয় ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত। কিন্তু মালয়েশিয়া বলেছিলো, জিরো মাইগ্রেশন কস্ট। তারাই এটা বলে গেছেন। তাহলে এখন শুনতে পারছি চার লাখ থেক সাড়ে চার লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। কারণ সিস্টেমেই ফল্ট (অব্যবস্থাপনা) আছে।"
তিনি বলেন, "আর সিস্টেমের মধ্যে আমাদের সব রিক্রুটিং এজেন্ট অন্তর্ভুক্ত আছে। সেই জায়গায় আমরা গিয়ে আটকে যাই। এখানে সবার সহযোগিতা থাকা উচিত।"
"সিস্টেমের কস্ট (পদ্ধতির খরচ) এর ক্ষেত্রে আমাদের রিক্রুটিং এজেন্টের দোষ নেই। খরচের ঝামেলা সবই মালয়েশিয়ায়," যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, "সবারই কিন্তু একই চিন্তাভাবনা থাকতে হবে যে, আমরা অভিবাসন ব্যয় কমাবো। একজনও যদি বলে আমি অন্য লাইনে চলবো, তাহলে পুরো প্রক্রিয়া ব্যর্থ হবে। যা-ই হোক আমরা চেষ্টায় আছি। সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব।"
বাংলাদেশ কী ধরনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন চাচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, "আমরা চাচ্ছি আমাদের যে সিস্টেম আছে, সেটার সঙ্গে মালয়েশিয়ার ইন্টারলিংক করতে। এটি প্রস্তাবের পর্যায়ে আছে, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সর্বশেষ তারা জানিয়েছেন আমাদের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে তারা লিংক করবে।"
'আমি প্রবাসী' অ্যাপে একবার লিংক হয়ে কোথায় কী গণ্ডগোল হচ্ছে তা ট্র্যাক করে জানা যাবে বলেও জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
এর আগে অনুষ্ঠানে চলতি বছরের জন্য 'অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মাননা' প্রদানের মাধ্যমে অভিবাসনে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য এবং 'গ্লোবাল কমপ্যাক্টে'র উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি দেয় সংস্থাটি।
এ বছরের আয়োজনে সর্বোত্তম রেমিট্যান্স ব্যবহারকারী অভিবাসী কর্মী, দেশে বসবাসরত পরিবারের মহিলা সদস্য এবং অভিবাসন পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্য থেকে মনোনীতদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভিবাসন ভিশন ২০৩০-কে কেন্দ্র করে ২০২৩-২০৩৩ পর্যন্ত সময়কে অভিবাসন দশক হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন মো. শাহরিয়ার আলম, প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ড. শামসুল আলম, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; আসাদুজ্জামান নূর, এমপি; রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী, নির্বাহী পরিচালক সি আর আবরার প্রমুখ।