কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাপিয়া, করবেন ঝাড়ুদার বা হস্তশিল্পের কাজ
যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ শামীমা নূর পাপিয়াকে গাজীপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় তাকে প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ- আল- মামুন।
কারাসূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা কারাগারে মহিলা হাজতিদের জন্য যে কয়েকটির কাজ আছে তার মধ্যে ঝাড়ু দেওয়া, কাঁথা সেলাই কিংবা মোড়া তৈরির মতো হস্তশিল্পের কাজ রয়েছে। পাপিয়াকে এসবের মধ্যে একটি কাজ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আবদুল্লাহ- আল- মামুন বলেন, "আমি ছুটিতে আছি। আগামী শনিবার অফিস করব। তখন তাকে কী দায়িত্ব দেওয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।"
কুমিল্লা কারাগারের একটি সূত্র বলছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা কারাগারে আনার পরই তাকে কারাগারের নারী ওয়ার্ডে রাখা হয়।
কুমিল্লা কারাগারে দুইটি নারী ওয়ার্ড। ছোটটিতে গর্ভবতী ও সন্তানসহ নারী হাজতিদের রাখা হয়। বড়টিতে রাখা হয় অন্য নারী হাজতিদের, যেখানে থাকেন ৪০-৫০ জন কয়েদি। এই ওয়ার্ডেই তিনি রাত পার করেন। তার জন্য অন্যদের মতো স্বাভাবিক সব খাবার সরবরাহ করা হয়। এসময় তার আচার আচারণের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে 'রাইটার' হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এদিকে নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর তার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে সাত হাজার ৪০০ টাকা পান।
ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।