খুব ইন্টারেস্টিং সময়ে বাংলাদেশে এসেছি: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, তিনি 'খুব ইন্টারেস্টিং সময়ে' বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সারাহ কুকের বরাত দিয়ে এ কথা বলেন। এদিন বিকালে সারাহ কুক সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, 'সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেওয়ার পরে এটাই আমার সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি যখন এখানে ডিএফআইডির প্রধান ছিলেন, তখন আমার সাথে তার পরিচয় ছিল। এটা রুটিন, তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সকলের সাথেই দেখা করবেন। সে অনুযায়ী আমার সাথে তিনি দেখা করেছন।'
আনিসুল হক আরও বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে যেটা তার (সারাহ কুকের) আগের এরিয়া ছিল, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। তিনি নিজে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি বলে জানিয়েছেন। সারাহ কুক বলেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তখন হয়েছিল, সেই উন্নয়নের দিকে তিনি লক্ষ রাখবেন।'
বাংলাদেশের আইনি অবকাঠামোর অনেক কিছুই ব্রিটিশ আইনের উপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'এখন আইনের ক্ষেত্রে অনেক রকম উন্নয়ন হয়েছে এবং এটা আরও কীভাবে উন্নতি করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা দুজন আলাপ-আলোচনা করেছি। আমি বিশেষভাবে আমাদের জুডিশিয়াল অফিসার ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আলেচনা করেছি।'
তারেক রহমানের সাজা এবং তাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে হাই কমিশনারের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, 'কোনো আলোচনা হয়নি।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। এ তথ্য জানানো হলে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমি তথ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করে নিই, এরপর আপনাদের কাছে ফিরে আসব।'
নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে আমার সঙ্গে সেভাবে কথা হয়নি। উনি আমাকে শুধু এ কথাই বলেছেন, আমি খুব ইন্টারেস্টিং সময়ে বাংলাদেশে এসেছি। আর আমি বলেছি, হ্যাঁ। এখন কমবেশি আমাদের ফোকাস হচ্ছে নির্বাচন এবং আমরা একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও ভায়োলেন্স-ফ্রি নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ।'