শীতেও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি, ১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, চলতি মাসে আরো দুটি বৃষ্টির সম্ভাবনা
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ভোলা, ঝালকাঠি, যশোর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজধানীতেও বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণের কিছু এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির মধ্যে অন্তত ১০ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এ মাসে আরও দুটি বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, আগামী ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারির একটি এবং ৩০ জানুয়ারি থেকে আরেকটি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে ইউরোপিয়ান ও আমারিকান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো।
এদিকে অন্তত ১০ জেলায় বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান বলেন, 'দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার ফলে আগামীকাল [শুক্রবার] থেকে কুয়াশা কাটতে শুরু করবে। তবে বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা শিগগিরই কমবে না।'
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল বান্দরবান ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর অঞ্চলের প্রতিটি স্থানেই বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। পুরো বিভাগেই তাই বইছে শৈত্যপ্রবাহ। রংপুরের আট জেলা ছাড়া শৈত্যপ্রবাহের এলাকার মধ্যে আছে কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজধানীতেও গতকাল কমেছে তাপমাত্রা, বেড়েছে শীতের প্রকোপ। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা, খুলনাসহ দক্ষিণের বেশ কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। যশোরে ২১ মিলিমিটার ও চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার সকালে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ স্থানভেদে কমবেশি হতে পারে। তবে শনিবারের মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পরের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের স্থান কমে যাবে। তবে বরিশাল ও চট্টগ্রামের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
তবে বৃষ্টির কারণে দেশে শীতের অনুভূতি অনেকটাই কমে যাবে। আকাশ পরিষ্কার হয়ে আসবে। বৃষ্টি শেষে আবারও কমতে পারে তাপমাত্রা।