অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে কতদিন বাড়ানো হয়েছে তা জানানো হয়নি।
আজ রবিবার এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে আজ সকালে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ মামলায় ড. ইউনূসের জামিন চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন।
দুদকের মামলায় জামিন পাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতের বাইরে সংবাদকর্মীদের বলেন, 'এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি আপনারা স্মরণ করে রাখুন। আজকের এ ছবিটি সংগ্রহ করে রাখুন। এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আইন মানুষের শুভ কামনার জন্য তৈরি করা হয়। আইন মানুষকে যেমন শান্তিতে রাখে তেমনি ভয়ঙ্কর শঙ্কাও সৃষ্টি করে। আইনকে আমরা কোন দিকে নিয়ে যাব, এটা সমাজের ইচ্ছা।'
তিনি আরও বলেন, 'আপনারা বিবেচনা করুন, দুর্নীতি দমন কমিশন আজকে একটি বিচারে বসলো- এটা সঠিক কারণে হয়েছে কিনা, সঠিকভাবে হয়েছে কিনা। এদিনে দুদকের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো একজন নোবেল বিজয়ীকে। এটা রেকর্ডেড। জাতির অংশ হয়ে থাকবে। এটার জন্য কি আমরা গর্ববোধ করব, নাকি অপরাধবোধ করব? যারা সারাজীবন খেটে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে গেলেন, তাঁদেরও মামলার আসামি করা হলো!'
ড. ইউনূস বলেন, আজকের এ ছবিটা আপনারা তুলে রাখুন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও বটতলার- এটি একটি ঐতিহাসিক ছবি হয়ে থাকবে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এটি প্রকাশিত হবে। যুগ যুগ ধরে নানান বইতেও এটা প্রকাশিত হবে। আপনারা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবেন।
গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
এ মামলার চার্জশিট আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তবে শুনানির বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।