সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে মহাকাশে গেলেন রায়ানাহ
সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে মহাকাশে পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন গবেষক রায়ানাহ বার্নাবি। রোববার (২১ মে) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে যাত্রা শুরু করে গতকাল ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) এ পৌঁছেছেন তিনি। খবর বিবিসির।
'অ্যাক্সিওম ২' মহাকাশ মিশনের অংশ হিসেবে ড্রাগন স্পেসক্রাফটে করে এ যাত্রায় আরও ছিলেন সৌদি পুরুষ নভোচারী আলী আল-কারনি। এছাড়াও তাদের দুইজনের সাথে ছিলেন মার্কিন কমান্ডার পেগি হুইটসন ও পাইলট জন শফনার।
আইএসএস-এ পৌঁছানোর আগে মহাকাশে ধারণ করা একটি ভিডিওতে রায়ানাহ বলেন, "ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। আপনারা বড় স্বপ্ন দেখুন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং মানবতায় বিশ্বাস করুন।"
৩৪ বছর বয়সী রায়ানাহ বায়োমেডিকেল সায়েন্সে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। একইসাথে তিনি দীর্ঘ নয় বছর রিয়াদের কিং ফয়সাল স্পেশালিষ্ট হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টারে 'রিসার্চ ল্যাব টেকনিশিয়ান' হিসেবে স্টেম কোষ ও টিস্যু রি-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে কাজ করেছেন।
মহাকাশে ১০ দিন অবস্থানকালে রায়ানাহ মূলত মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে মানুষের ইমিউন কোষের প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করবেন।
নভোচারীরা আইএসএসে অবস্থানের সময় ২০টির বেশি গবেষণা পরিচালনা করবেন। এসব গবেষণার মধ্যে মহকাশে থাকা অবস্থায় মানব স্বাস্থ্যর উপর প্রতিক্রিয়া ও 'ক্লাউড সিডিং টেকনোলজির' মতো বিভিন্ন জটিল বিষয়ও রয়েছে।
একইসাথে মহাকাশ ষ্টেশন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে রায়ানাহ শিশুদের সাথে তার মহাকাশ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।
এ সম্পর্কে রায়ানাহ বলেন, "মহাকাশে নিজ অঞ্চল থেকে যাওয়া নভোচারীদের দেখার পর শিশুদের প্রতিক্রিয়া দেখাটা আমার জন্য বেশ রোমাঞ্চকর হবে।"
অন্যদিকে সৌদি-আমেরিকান মহাকাশ প্রকৌশলী ও সৌদি স্পেস কমিশনের উপদেষ্টা মিশাল আশেমিমরি বলেন, "বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের উপকার করাই আমাদের লক্ষ্য। আশা করি আমাদের এ উদ্যোগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে থাকা নারীদের অনুপ্রাণিত করবে।"
২০১৮ সাল থেকে মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর উদ্যোগ শুরু করে সৌদি আরব। যুবরাজ সালমানের 'ভিশন ২০৩০' এজেন্ডার অংশ এই মহাকাশ মিশন।
এই ভিশনের কারণে মহাকাশের বেশ কয়েকটি মিশনে বর্তমানে সৌদি আরব যুক্ত রয়েছে।