বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর তালিকায় নাম লেখাতে কত সম্পদ প্রয়োজন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনী ১% মানুষের তালিকায় নাম লেখাতে পারাটা একটি দুরূহ ব্যাপার।
নাইট ফ্রাঙ্কের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হতে বর্তমানে প্রায় ৫.৮ মিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক হওয়া প্রয়োজন।
একবছর আগের তুলনায় বর্তমানে প্রায় ১৫% বেশি সম্পদের প্রয়োজন এ তালিকায় যুক্ত হতে।
সম্পদ ব্রোকারদের ২০২৪ সালের ওয়েলথ রিপোর্ট অনুসারে, মোনাকোর ধনীদের সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, যার পরিমাণ প্রায় ১২.৮ মিলিয়ন ডলার। এক বছর আগের তুলনায় তাদের সম্পদ ৩.২% বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডে ধনীদের কাতারে শামিল হতে ৮ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রয়োজন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর বাজার কীভাবে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে তুলছে এই অনুসন্ধানগুলোর মাধ্যমে তা উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোনাকোর মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা পূর্ব আফ্রিকার বুরুন্ডির চেয়ে ৯০০ গুণ বেশি।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন মহামারির ধাক্কা সবে কাটিয়ে ওঠা বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে।
এতে বিশ্বব্যাপী সংকট দেখা দিলেও, ঋণ নেওয়ার খরচ বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র দেশগুলো এসব পণ্য আমদানি করতে সবচেয়ে বেশি দুভোর্গ পোহাচ্ছে।
তবে সবার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এক নয়।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
এদের মধ্যে টেসলা ইনকর্পোরেটেডের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
নাইট ফ্রাঙ্ক তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, 'আমাদের গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পদ বণ্টনে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।'
ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি