সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধান সাফিউদ্দীনের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হিজবুল্লাহর
গত শুক্রবার বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর থেকে শীর্ষ নেতা সাফিউদ্দিনের সাথে হিজবুল্লাহর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সশস্ত্র সংগঠনটির পরবর্তী প্রধান হিসেবে তার নামই সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল।
কার্যনির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সাফিউদ্দিন সংগঠনের একজন অত্যন্ত উচ্চপদস্থ সদস্য। তিনি সম্পর্কে নাসরাল্লাহর চাচাত ভাই।
ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস বলছে, গত বৃহস্পতিবার শেষ রাতে বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে ভূগর্ভস্থ একটি বাংকারে ছিলেন সাফিউদ্দিন। সেদিন তার অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
হামলার পর থেকে সাফিউদ্দিনের অবস্থা নিয়ে হিজবুল্লাহ প্রাথমিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করে দেয় হিজবুল্লাহ।
বিবৃতিতে সংগঠনটির মিডিয়া অফিস জানায়, সাফিউদ্দিনের নিহত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপের সূত্রের বরাত দিয়ে যে প্রতিবেদনগুলো সংবাদমধ্যমে এসেছে তা অর্থহীন ও গুজব।
এদিকে আল জাজিরার রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা মনে করেন, হিজবুল্লাহর সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়াই প্রমাণ করে তাদের গোয়েন্দা তথ্য অন্য পক্ষের কাছে চলে যাচ্ছে। এর ফলেই ইসরায়েল নেতাদের একের পর এক স্থানের তথ্য পেয়ে হামলা করতে পারছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে, দেশটিতে ইসরায়েলের চলমান ক্রমাগত বোমাবর্ষণে ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। একইসাথে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে গত মাসে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন।
সংগঠনটিকে একটি রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় হাসান নাসরুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ইরান ও এর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান