ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে পিয়াজিও নিয়ে এলো ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির ভেসপা
স্কুটার জগতের নেতৃত্ব দেয় ভেসপা—এ কথা বললে একেবারে ভুল হবে না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্কুটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পিয়াজিও নিয়ে এসেছে ভেসপার নতুন ৩১০ মডেল। এ মডেল ভেসপাকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। এটি এখন পর্যন্ত বাজারে আসা সবচেয়ে দ্রুত গতির ভেসপা।
যে কারণে এর গতি বেশি
এ নতুন মডেলের ভেসপায় রয়েছে ৩১০ সিসির ইঞ্জিন। এর কারণে সিঙ্গেল সিলিন্ডারের স্ট্রোক ৬৩ মিমি থেকে বেড়ে ৭০ মিমি হয়েছে। আর ইঞ্জিনের ডিসপ্লেসমেন্ট ২৭৮ সিসি থেকে ৩১০ সিসি হওয়ায় এটি ২৫ হর্সপাওয়ারের সমান শক্তিশালী। সহজ ভাষায় বললে, যন্ত্রটি ছোট হিসেবে খুবই শক্তিশালী।
এর টর্কও বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ স্ট্রোকের কারণে এটি চালাতেও আগের চেয়ে আরাম পাওয়া যায়। বিশেষ করে ওভারটেকিং, মোড় ঘোরা কিংবা রাস্তার বিভিন্ন বাধা খুব সহজেই এটি দিয়ে পার হওয়া যায়।
কোম্পানিটির সর্বাধুনিক লিকুইড-কুলড ২৭৮ সিসি ইঞ্জিনের ওপর ভিত্তি করেই এ ইউনিটে আরও কিছু নতুন উন্নত জিনিস সংযুক্ত করা হয়েছে। আর এসবের ৭০ শতাংশ জিনিস নতুন ডাইমেনশনে তৈরি করা হয়েছে বিধায় এগুলো পারফরম্যান্সও আরও ভালো দিচ্ছে।
এরকম উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় ভেসপা চালানো আরও সহজ হয়ে উঠবে। একজন ব্যবহারকারী তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন, "এ স্কুটারগুলোর ভারসাম্য খুবই চমৎকার এবং এর কাজগুলো এত নিখুঁত যে চালালেই তা টের পাওয়া যায়।"
যারা নিয়মিত ভেসপা চালান, তারা প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশি গতির ইঞ্জিন পেলে অবশ্য আপত্তি করবেন না। এ কারণে জিটিএস ৩১০ ভালো সাড়া ফেলেছে। আর চেহারার দিক থেকে স্কুটারটি বেশ আকর্ষণীয় ও আধুনিকই বলা যায়। এটি ক্লাব, জিম, সুপারমার্কেট, পার্টি বা কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য অনায়াসেই ব্যবহার করা যাবে।
ইঞ্জিন সম্পর্কে আরও তথ্য
এ স্কুটারে কম গতিতেও সরাসরি থ্রটল দিলে সঙ্গে সঙ্গেই টর্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণে শহরের রাস্তায় চলাচলের জন্য মুহূর্তেই গতি ওঠাতে পারে স্কুটারটি। যেমন, নিউইয়র্ক সিটির সোহো-র পাথুরে রাস্তায় কম গতিতে সতর্কতার সঙ্গে চালাতে হয়। আবার পাথুরে রাস্তা পেরোনোর পরই সঙ্গে সঙ্গে গতি তোলা যাবে এ স্কুটারে।
অন্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে পাওয়ার ট্রেনের মধ্যে নতুন ইনজেক্টর, একটি হেলানো সিলিন্ডার, নতুন স্টার্টিং সিস্টেম ও ক্র্যাঙ্ককেস ডিজাইন। এ ক্র্যাঙ্ককেস ডিজাইন যান্ত্রিক ও ড্রাইভ বেল্টের শব্দ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনে।
যদিও আগের মডেলগুলোতেও এই কম্পন ও শব্দের মাত্রা ছিল অত্যন্ত কম। পিয়াজিও বলছে, নতুন ইঞ্জিনে এই মাত্রাগুলো আরও কমানো হয়েছে। ভেসপার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, বছরের পর বছর তারা স্কুটারটির মডেলগুলোকে আরও উন্নত করেছে। আর অধিকাংশ পরিবর্তনই আরও উন্নত হয়েছে। তাই ধরে নেওয়া যায়, এই মডেলটিও তেমন হবে।
সিনেমা, ভিডিও ও গল্পে যুগে যুগে ভেসপা এখনো সেই জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। আর এ জনপ্রিয়তার কারণে আইকনিক ব্র্যান্ডটি এখনও বিক্রি ও উপস্থিতি সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে।