শ্রীলঙ্কার বিতর্কিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প থেকে সরে এল আদানি গ্রিন
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/13/u65vcxlbtzpctfa565qgsulzcm.jpg)
উত্তর শ্রীলঙ্কার বিতর্কিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প থেকে সরে এসেছে আদানি গ্রিন। স্থানীয়দের চলমান উদ্বেগ এবং এর অনুমোদন ও সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এই সরে আসার সিদ্ধান্ত আদানি গ্রুপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের প্রচেষ্টার ওপর স্থানীয় পর্যবেক্ষণ ও সমালোচনার প্রভাবকে তুলে ধরে। একই সঙ্গে, এটি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের জন্য একটি জয় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ পদে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি এই 'দুর্নীতিগ্রস্ত' প্রকল্প বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে তার সরকার এটি পুনরায় আলোচনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।
১২ ফেব্রুয়ারির এক চিঠিতে আদানি গ্রিন জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কা সরকার সম্প্রতি প্রকল্পটি পুনরায় আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করার পর তারা 'সম্মানের সঙ্গে' প্রকল্পটি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে, তারা শ্রীলঙ্কার সার্বভৌম অধিকার ও নীতিগত সিদ্ধান্তকে 'সম্পূর্ণ সম্মান' জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার মান্নার ও পুনেরিন শহরে ৪৮৪ মেগাওয়াটের নবায়নযোগ্য শক্তির উইন্ড ফার্ম প্রকল্প নিয়ে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার কথা উল্লেখ করে আদানি গ্রিন জানিয়েছে, 'বিল্ড-ওন-অপারেট' মডেলের এ প্রকল্পে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এদিকে, আদানি গ্রুপ শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এসএলপিএ) এবং জন কিলস হোল্ডিংসের সঙ্গে যৌথভাবে কলম্বো বন্দরের পশ্চিম কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণকাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
উত্তর শ্রীলঙ্কায় আদানি গ্রিনের উইন্ড ফার্ম প্রকল্প শুরু থেকেই নজরদারির আওতায় ছিল। এটি ২০২২ সালে গোটাবায়া রাজাপাকশের প্রশাসন প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে রনিল বিক্রমাসিংহের প্রশাসনও প্রকল্পটি এগিয়ে নেয়, যদিও এতে প্রবল বিরোধিতা দেখা দেয়।
প্রকল্পের মাধ্যমে আদানি গ্রুপ শ্রীলঙ্কার জ্বালানি খাতে 'পেছনের দরজা দিয়ে' প্রবেশ করেছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তোলে। পাশাপাশি, মান্নারের বাসিন্দা ও পরিবেশবাদীরা এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্ড করিডরের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং অন্যান্য পরিবেশগত ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।