কাজুবাদামের মতো দামি কাঁঠালবিচি!
ভারতের কেরালায় কাঁঠালের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। কেরালার অফিসিয়াল জাতীয় ফল কাঁঠাল দারুণ জনপ্রিয়। কাঁচা, পাকা, আচার বানিয়ে, গুঁড়ো করে—নানাভাবে রাজ্যটিতে খাওয়া হয় এ ফল। তবে দেরিতে হলেও কাঁঠালের বিচিও একই রকম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কেরালায় বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাঁঠালের বিচি কেজিপ্রতি ৪৫০ থেকে ৮০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁঠাল-গুঁড়ার দাম গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ রুপি। অর্থাৎ বিচি হয়ে উঠেছে বড় তারকা। বাজারে কাঁঠাল বিচি প্রক্রিয়াকরণ, ব্র্যান্ডিং ও বিপণন করে মূলত কেরালা ও তামিলনাড়ুভিত্তিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানিগুলো।
কাঁঠালের বিচি বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজের ভান্ডার। কাঁঠালের বিচিতে আছে প্রচুর পরিমাণে বি ভিটামিন—অর্থাৎ থায়ামিন ও রিবোফ্লাভিন। তাছাড়া কাঁঠাল বিচিতে স্টার্চ হজম হতে সময় লাগে। তাই এটি ক্ষুধা মেটাতে যেমন সক্ষম, তেমনি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, কাঁঠাল বিচি হজম প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং সাধারণ হজম সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক। চীনারা হজম-সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসায় ঐতিহ্যগতভাবেই কাঁঠালের বিচি ব্যবহার করে আসছে বলে জানা যায়।
কাঁঠাল ফলের শাঁস কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই নানা রকমের পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাঁঠাল এমন এক বিরল ফল যাতে সব ধরনের বি কমপ্লেক্স ভিটামিন রয়েছে। এটি ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন), নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন ও ফলিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস। কাঁঠালে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও আয়রনসহ বিভিন্ন খনিজ রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অত্যাবশ্যক।
এছাড়াও কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি-ও আছে, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এবং ভিটামিন এ তৈরিতে সাহায্য করে।
- সূত্র: মনোরমা অনলাইন