রিজওয়ানের ব্যাটে পাকিস্তানের লড়াকু সংগ্রহ
শুরুটা দারুণ করলেন তাসকিন আহমেদ, প্রথম ওভারে খরচা করলেন ১ রান। কিন্তু পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান সেই ধারায় থাকতে পারলেন না। এরপর অবিরত বোলিং পরিবর্তন করা হলেও পরের বোলাররা সুবিধা করতে পারলেন না, সুযোগ হাতছাড়া হয় রান আউটেরও।
থিতু হয়ে মাঝারি জুটি গড়েন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। পরে ইনিংস আরও বড় করেন দারুণ ব্যাটিং করা রিজওয়ান, তাল মেলান শান মাসুদ। তাতে বড় লড়াকু সংগ্রহই পেল পাকিস্তান। শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান তুলেছে পাকিস্তান।
উইকেট বেশি নিতে না পারলেও ম্যাচে ক্যাচিংয়ে দারুণ ছিল বাংলাদেশ। আসাধারণ দুটি ক্যাচ ধরেন হাসান মাহমুদ ও ইয়াসির আলী রাব্বি। বোলিংয়ে তাসকিন সবচেয়ে দাপুটে ছিলেন। দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজও ভালো করেন। তবে হতাশার বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদও ছিলেন খরুচে।
বাবর-রিজওয়ানকে সাবধানী শুরু করতে বাধ্য করেন তাসকিন। প্রথম ওভারে তার খরচা মাত্র এক রান। কিন্তু পরের ওভারে মুস্তাফিজ দেন ১০ রান। তৃতীয় ওভারে দুই চারসহ হাসান দেন ৯ রান। চতুর্থ ওভারটি বেশি হতাশার, এক ছক্কাসহ নাসুম দেন ৭ রান। রানের দিক থেকে খরুচে না হলেও নিশ্চিত রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেন সাব্বির রহমান।
মুস্তাফিজ-হাসানদের গড়পড়তা মানের বোলিংয়ে মানিয়ে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান যোগ করেন বাবর-রিজওয়ান। বাবরকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। এদিন টি-টোয়েন্টির মতো করে ব্যাটিং করতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক, ২৫ বলে ৪টি চারে ২২ রান করেন তিনি।
এরপর শান মাসুদের সঙ্গে জুটি গড়েন রিজওয়ান, আসে ৪২ রান। নিউজিল্যান্ডের স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হলেও এই জুটি ভাঙেন আরেক স্পিনার। ২২ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রান করা শানকে ফেরান নাসুম। লাফিয়ে দারুণ ক্যাচে শানকে তালুবন্দী করেন হাসান। এরপর হায়দার আলী দ্রুতই ফেরেন। তাসকিনের বলে চোখ জুড়ানো ক্যাচে তাকে ফেরান ইয়াসির।
তবে রিজওয়ান দাপুটে ব্যাটিং করে যেতে থাকেন। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখা পাকিস্তানের এই ওপেনার। ডানহাতি এই ওপেনার ৫০ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ইফতিখার আহমেদ ১৩, আসিফ আলী ৪ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ৮ রান করেন।
৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন তাসকিন। নাসুম আরও কৃপণ ছিলেন, ৪ ওভারে ২২ রানে এক উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ২ ওভারে ১২ রানে মিরাজের শিকার এক উইকেট। হাসান ৪ ওভারে ৪২ রানে নেন একটি উইকেট। সবচেয়ে খরুচে মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকেন। মোসাদ্দেকও সুবিধা করতে পারেননি, ২ ওভার ১৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি তিনি।