ছবির গল্প: বার্সেলোনা, মিয়ামি, রোজারিও আর ইবিজায় মেসির বিলাসবহুল সব বাড়ি
ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে পেনাল্টিতে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সোনালী শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের কারিগর ছিলেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ফুটবলের এই সর্বোচ্চ শিরোপা জিতে তিনি সৃষ্টি করেছেন অনন্য ইতিহাস। ফুটবল তাকে খ্যাতির পাশাপাশি দিয়েছে অগাধ বিত্ত। তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম। তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি ডলার। ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে
সম্পদ যত, জীবনযাত্রাও ততোটাই বিলাসবহুল তার। বসবাসের জায়গাটাও তাই কেতাদুরস্ত হওয়া চাই তার। তাই শুধু বিলাসবহুল গাড়ি নয়, বিশ্বের অন্যতম দামি কিছু বাড়িরও মালিক তিনি। এসব বাড়ি রয়েছে বিশ্বের নানান প্রান্তে।
চলুন ছবিতে ছবিতে দেখা যাক, স্পেনের বার্সেলোনা ও ইবিজা, যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, আর্জেন্টিনার সান্তা ফে প্রদেশের রোজারিও শহরে অবস্থিত মেসির বাড়িগুলো–
বার্সেলোনায় মেসির বিলাসবহুল ম্যানশন
স্কয়ারইয়ার্ডস নামক একটি আবাসন সংস্থা জানিয়েছে, ২০০৯ সালে প্রাচীন এই ম্যানশন কিনতে ১৮ লাখ ইউরো ব্যয় করেন মেসি। এরপর রুচি অনুসারে, বাড়িটি মেরামত ও অন্দরসজ্জায় ব্যয় করেছেন আরও প্রায় ৬০ লাখ ইউরো।
বাড়িটির সুপরিসর লিভিং রুমটি আবার মেসি ও তার বাচ্চাদের খুবই প্রিয়। মাঝেমধ্যেই এ ঘরের সুপরিসর কাউচে বাচ্চাদের সাথে খেলতে খেলতে ঘুমিয়েও পড়েন তাদেরই সাথে।
ভূমধ্যসাগরের নয়নাভিরাম দৃশ্য
ভূমধ্যসাগরের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতেই বেশ খোলামেলাভাবে নির্মিত ম্যানশনটি। জানালা আর বারান্দাগুলোও সেজন্য অনেক বড়।
জাকজমকপূর্ণ ম্যানশনে মেসির বিপুল টি-শার্ট কালেকশন
টি-শার্ট সংরক্ষণশালা হিসেবে আলাদা একটি ঘরের পুরোটাই ব্যবহার করেন ফুটবল কিংবদন্তী।
বাড়ির সমান আয়তনের সুইমিংপুল!
চোখ কপালে উঠতে চাইলেও, অবাক না হওয়াই ভালো। ফুটবলের যিনি রাজা, তার রাজকীয় জীবনে এ আর তেমন বাড়াবাড়ি তো নয়। এই সুইমিংপুলে সপরিবারে সাঁতার উৎসব মেসির কিন্তু দারুণ প্রিয়।
আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের ম্যানশন
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মিরর ও দ্য সানের প্রতিবেদন অনুসারে, নিজ শহরে এই বাড়িটি নির্মাণে ৩ লাখ পাউন্ড খরচ করেছেন মেসি। পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণের পর বেশিরভাগ সময়টা এখানেই কাটাতে চান তিনি।
খেলার বিশাল মাঠ
এই প্রাসাদতুল্য বাড়ির অন্যতম বৈশিষ্ট্য বড় একটি খেলার মাঠ। অবসরে প্রিয় সারমেয় ও বাচ্চাদের সাথে এই মাঠেই খেলাধুলায় মেতে থাকেন মেসি।