বিদেশগামী প্রতিটি কর্মীর জন্য আলাদা আলাদা প্রোফাইল তৈরির নির্দেশনা
নিরাপদ ও স্বচ্ছ অভিবাসন নিশ্চিতে বিদেশগামী প্রতিটি অভিবাসী কর্মীর জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কর্তৃক আলাদা আলাদা প্রোফাইল তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন নিয়ন্ত্রণক সংস্থা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম।
একইসাথে অভিবাসী কর্মীর পাসপোর্ট ও ব্যক্তিগত নথিপত্র আটকে না রাখা এবং এর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন তিনি।
নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য আয়োজিত ধারাবাহিক সেমিনারের প্রথম ধাপে রোববার (৯ এপ্রিল) তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বিএমইটি এবং রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (আরএমএমআরইউ) যৌথভাবে আয়োজিত রোববারের সেমিনারে ২০০টি নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত এজেন্সির মধ্যে ২৫টি অংশ নেয়।
দালালের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএমইটি এর ডাটাবেসে নিবন্ধিত কর্মীদের সুযোগ এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্মী খোঁজার বিষয়টি তুলে ধরেন মহাপরিচালক।
একইসঙ্গে লাইসেন্স প্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সিকে দালালের সাথে সম্পর্ক না করে বিদেশে গিয়ে নিজেদের কাজ খুঁজে আনার প্রতি জোর দেন তিনি।
কর্মশালাটির প্রধাণ অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ভবিষ্যতে রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সঠিক, যোগ্য ও নৈতিক এজেন্সি নির্বাচনে লিখিত পরীক্ষা নেবার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
আরএমএমআরইউ'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, "আপনারা মানুষের কর্মসংস্থান করে অনেক বড় একটি কাজ করছেন, এই কাজে নিজের নৈতিকতাকে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করতে হবে। যাদেরকে আপনারা বিদেশে পাঠাচ্ছেন তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।"
"তাহলেই তাদের ভালমন্দের দায়িত্ব নেয়ার তাগিদ আপনাদের মাঝে চলে আসবে এবং তাদের সুরক্ষার সাথে সাথে আপনাদের ব্যাবসারও উন্নতি ঘটবে," বলেন তিনি।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী।