আজ থেকে ইতালিতে যাচ্ছে রাজশাহীর আম
রাজশাহী থেকে ইতালিতে আম রপ্তানি শুরু হচ্ছে আজ (৪ মে)।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আমের প্রথম চালান ইতালিতে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্যাকেজিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় আমগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়, আজ সেগুলো পাঠানো হবে ইতালির উদ্দেশ্যে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আদাব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে স্থানীয় জাতের ৩০০ কেজি আম রপ্তানি করা হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশের প্রতিনিধি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আমচাষী, আম ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আমের প্যাকেজিং শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে গোপালভোগ, ২০ মে রাণীপছন্দ ও লখনা, ২৫ মে হিমসাগর বা খিরসাপাত জাতের আম ৬ নামানো হবে।
প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি আম নামানো হবে।
এরপর আগামী ১০ জুলাই আশ্বিনা, বারি আম-৪ ও গৌড়মতি এবং ২০ আগস্ট ইলামতি ও কাটিমন আম নামানো যাবে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, সারাদেশের মানুষ যাতে পরিপক্ক ও বিষমুক্ত আম পেতে পারে সেজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, জেলায় এবছর ১৯,৫৭৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যার মধ্যে বাঘায় চাষাবাদ হয়েছে ৮,৫৭০ মেট্রিক টন। পুরো জেলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২, ৫৮,০০০ মেট্রিক টন।
আম বেচাকেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
গতবছর বাঘা উপজেলা থেকে আম রপ্তানি হয়েছে ৩৭ মেট্রিক টন। এবছর ২০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির প্রত্যাশা রয়েছে।
সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন
কয়েকদিন পরেই বাজারে উঠতে শুরু করবে সাতক্ষীরার আম। এ বছর জেলায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার আম বিক্রির আশা করছে কৃষি বিভাগ।
তবে দেশের গন্ডি পেরিয়ে সাতক্ষীরার আমের সুনাম ছড়িয়েছে বিদেশেও। প্রতিবছর সাতক্ষীরা থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে আসছে আম।
নবমবারের মত এসব আম রপ্তানি হবে ইতালি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, জার্মানি ও ইংল্যান্ডে। তবে এবছর কতটুকু আম রপ্তানি হবে সেটির কোনো পরিসংখ্যান হয়নি বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে আগেভাগেই আমগাছে মুকুল ধরে সাতক্ষীরায়। এছাড়া পরিপক্ক হওয়ার পর সারাদেশের মধ্যে প্রথম বাজারে আসে এ আম। শেষ মুহূর্তে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন আমচাষীরা।
- প্রতিবেদনটি তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রাজশাহী ও সাতক্ষীরার প্রতিনিধি